প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২০ আগস্ট ২০২৫, ০৮:০০:০১ : বর্তমানে চলছে ভাদ্রপদ মাস ২০২৫, যাকে আমরা সংক্ষেপে ভাদ্র মাস বলি। হিন্দু পঞ্জিকার ষষ্ঠ মাস এটি, যা সাধারণত আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে। এই মাস ভক্তি, সাধনা, দান এবং নানা পবিত্র অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
এই মাসে শ্রীকৃষ্ণ, ভগবান বিষ্ণু ও গণেশজির পূজা বিশেষভাবে ফলপ্রদ বলে শাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে। একই সঙ্গে এই সময় থেকেই শুরু হয় পিতৃতর্পণ ও শ্রাদ্ধকর্ম, যা পূর্বপুরুষদের শান্তির জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। ভাদ্র মাসের নামকরণ হয়েছে ভাদ্রপদ নক্ষত্রের নামে।
এই সময় বহু উৎসব পালিত হয় এবং শাস্ত্রমতে জীবনযাত্রার নানা নিয়ম মানা আবশ্যক। যদি ভাদ্র মাসের আচরণবিধি ও খাদ্যবিধি অনুসরণ করা যায়, তবে রোগ–শোক দূরে থাকে, পারিবারিক সুখ বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে উন্নতি আসে।
ভাদ্র মাসে খাদ্যাভ্যাসের নিয়ম
ঋতুশাস্ত্র অনুযায়ী ভাদ্র মাস পড়ে বর্ষাকালে। এই সময়ে শরীর শুদ্ধি ও সাধনার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। তবে বর্ষার কারণে কখনও গরম তো কখনও ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে, তাই খাবারও খুব বেশি গরম বা বেশি ঠান্ডা হওয়া উচিত নয়।
দুধ ও ঘি খাওয়া যায়।
কিন্তু দই ও দইজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। না হলে হজমের সমস্যা, সর্দি-কাশি বা ঠান্ডাজনিত অসুখ হতে পারে।
পাতা জাতীয় সবজি থেকে বিরত থাকুন
ভাদ্র মাসে বর্ষার প্রকোপ পুরোপুরি কাটে না। এই সময়ে শাক-পাতায় নানা রকম কীট ও ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। তাই পাতাযুক্ত সবজি খাওয়া একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ঝাল-মশলাদার ও ভাজাভুজি খাবারও স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে।
শাস্ত্রমতে, ভাদ্র মাসে মাখন খাওয়া ও নিয়মিত উপবাস রাখা আয়ু বৃদ্ধিতে সহায়ক।
যেসব খাবার একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে
ডাল: এই মাসে মসুর ডাল ও ছোলা ডাল খাওয়া বারণ। এর বদলে আরহার ডালসহ অন্য ডাল খাওয়া যেতে পারে।
সবজি: বেগুন ও মূলা খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
ফল: তরমুজ খাওয়া নিষেধ।
মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য: গুড় ও মধু থেকেও দূরে থাকতে হবে, কারণ এগুলো গলায় সমস্যা ও কথাবার্তায় অসুবিধা তৈরি করতে পারে।
বাঁসী খাবার কখনও খাবেন না, সবসময় টাটকা খাবার খাবেন।
তামসিক আহার যেমন মাছ-মাংস, মদ ইত্যাদি সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে।
No comments:
Post a Comment