প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৫:০১ : ভারতের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও, পাকিস্তানের জ্ঞান ফিরছে না। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ভারতের বিরুদ্ধে আরেকটি ষড়যন্ত্র তৈরি করেছেন। আমরা এটি বলছি না, বরং প্রতিবেশী দেশের একজন সেনা আধিকারিক এটি প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তানি সেনাপ্রধান এখন ঐতিহ্যবাহী পশ্চিম সীমান্তের পরিবর্তে পূর্ব ফ্রন্ট থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কৌশল শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর সরাসরি অর্থ হল পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও কৌশলগত পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে।
পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী আবারও পাকিস্তানের কর্মকাণ্ড উন্মোচন করেছেন। তিনি বলেছেন, "ভবিষ্যতে যেকোনও সংঘাতের ক্ষেত্রে, আমরা পূর্ব (বাংলাদেশ সীমান্ত) থেকে শুরু করব। এই ইঙ্গিত কেবল একটি সামরিক ধারণার দিকেই ইঙ্গিত করে না বরং সম্ভাব্য ভূ-রাজনৈতিক জোটের দিকেও ইঙ্গিত করে।"
পাকিস্তানের প্রতি বাংলাদেশের নতুন ইউনূস সরকারের নরম মনোভাব এবং ভারতের প্রতি কঠোর মনোভাবও দেশের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে। প্রতিবেদন অনুসারে, মহম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাথে পুরানো সম্পর্ক পুনরায় সক্রিয় করেছেন। এই সহযোগিতা কেবল কূটনীতিতেই নয়, গোয়েন্দা, সাইবার এবং সীমান্ত সুরক্ষার উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। যদি বাংলাদেশ পাকিস্তানি কার্যকলাপের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতে শুরু করে, তাহলে ভারতকে দুটি ফ্রন্টে একটি নিরাপত্তা কৌশল তৈরি করতে হবে - একটি পশ্চিমে নিয়ন্ত্রণ রেখায় এবং অন্যটি পূর্বে বাংলাদেশ সীমান্তে।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাকিস্তানের প্রতি ঝোঁক এবং ভারতের প্রতি তার সাম্প্রতিক অবস্থান আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক সেনাবাহিনীকে নতুন আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থনে, অসীম মুনির কূটনৈতিক কভার, সামরিক আস্থা এবং জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে সমর্থনের আশা করছেন। মুনির সাম্প্রতিক মাসগুলিতে চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সাথেই কৌশলগত সংলাপ বাড়ানোর জন্য কঠোর চেষ্টা করেছেন।
এই পরিস্থিতি ভারতের জন্যও উদ্বেগজনক কারণ এটি এখন কেবল পশ্চিম সীমান্তেই নয় বরং বাংলাদেশের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের কাছ থেকেও হুমকির সম্ভাবনার মুখোমুখি হচ্ছে। যদি ঢাকার ইউনূস সরকার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রভাবে আসে এবং ভারতবিরোধী কার্যকলাপ প্রচার করে, তাহলে এটি সরাসরি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির নিরাপত্তা, আসাম ও বাংলার সীমান্তবর্তী জেলাগুলির নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ শান্তির উপর প্রভাব ফেলবে।
No comments:
Post a Comment