বিশ্বজুড়ে ক্যান্সার এখন অন্যতম ভয়ঙ্কর রোগ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা হলে ক্যান্সার রোগীর জীবন রক্ষা সম্ভব, তবে দেরি হলে এর পরিণতি প্রায়শই মারাত্মক হয়ে ওঠে।
ক্যান্সার কীভাবে ছড়ায়?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরের সাধারণ কোষ নির্দিষ্ট সময়ে জন্ম নেয় ও মারা যায়। কিন্তু ক্যান্সার কোষ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়তে থাকে এবং আশেপাশের সুস্থ টিস্যু ধ্বংস করে ফেলে। এভাবেই ধীরে ধীরে রোগটি পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
কোন কোন লক্ষণে সতর্ক হবেন?
শরীরে অকারণে গুটি বা ফোলা সৃষ্টি
দীর্ঘদিন কাশি বা গলার স্বর পরিবর্তন
অকারণে ওজন কমে যাওয়া
রক্তক্ষরণ (প্রস্রাব, মল বা মুখ দিয়ে)
ক্ষত শুকাতে দীর্ঘ সময় নেওয়া
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপসর্গগুলিকে অবহেলা করা বিপজ্জনক।
ক্যান্সারের মূল কারণ
তামাক সেবন, অস্বাস্থ্যকর খাবার, অতিরিক্ত মদ্যপান, পরিবেশ দূষণ, ভাইরাস সংক্রমণ এবং বংশগত কারণকে ক্যান্সারের বড়ো ঝুঁকি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
চিকিৎসা ও প্রতিকার
বর্তমানে সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি ও টার্গেটেড থেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, রোগী যদি প্রাথমিক পর্যায়েই ধরা পড়ে, তবে চিকিৎসার ফলাফল অনেক ভালো হয়।
প্রতিরোধের উপায়
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য থেকে দূরে থাকা
সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
নিয়মিত ব্যায়াম করা
হেপাটাইটিস-বি ও এইচপিভি ভ্যাকসিন গ্রহণ
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা
বিশেষজ্ঞ মত
অনকোলজিস্টদের মতে, “ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো সচেতনতা। অল্পতেই সতর্ক হলে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব।”
সতর্কীকরণ ঃ এই প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের উদ্দেশ্যে উপস্থাপিত। এখানে উল্লেখিত উপসর্গ, কারণ ও প্রতিকার কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। কারও শরীরে উল্লিখিত লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিজের মতো করে চিকিৎসা শুরু করা বিপজ্জনক হতে পারে।
No comments:
Post a Comment