আধুনিক জীবনযাত্রায় দূষণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত রুটিনের কারণে ত্বক ও চুল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় বাজারের কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে সাময়িক ফল পাওয়া গেলেও দীর্ঘমেয়াদে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই কারণে আবার ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক টোটকা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
লেবু ত্বকের যত্নে অত্যন্ত কার্যকর। লেবুর রসে প্রাকৃতিক ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বক উজ্জ্বল করে ও দাগ-ছোপ কমায়। সামান্য লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক সতেজ হয়।
অ্যালোভেরা ত্বক ও চুলের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যালোভেরার জেল সরাসরি ত্বকে লাগালে তা শুষ্কতা কমায়, ত্বক কোমল করে তোলে এবং রোদে পোড়া দাগ হালকা করে। একইভাবে অ্যালোভেরার জেল মাথার ত্বকে লাগালে খুশকি কমে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়।
আমলা চুলের জন্য অসাধারণ একটি উপাদান। আমলার রস বা আমলা গুঁড়ো নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে এবং চুলের স্বাভাবিক কালো রঙ বজায় থাকে। এছাড়া আমলা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মেথি চুলের সমস্যায় কার্যকর। রাতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে পেস্ট করে মাথায় লাগালে খুশকি কমে এবং চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে আসে। পাশাপাশি এটি চুলকে আরও ঘন ও মজবুত করে তোলে।
এইসব ঘরোয়া উপাদান কেবল সস্তা নয়, বরং কোনো ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দীর্ঘমেয়াদে ত্বক ও চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত যত্ন ও ধৈর্য ধরে প্রয়োগ করলে এর সুফল সহজেই পাওয়া যায়।
অতএব, প্রাকৃতিক টোটকায় ভরসা রাখলে ত্বক ও চুল দুটোই সুস্থ থাকবে এবং বাহ্যিক সৌন্দর্য অনেক বেশি সময় ধরে অটুট থাকবে।

No comments:
Post a Comment