বারাসত মহকুমায় পুলিশের পিঙ্ক মোবাইল ভ্যান ও উইনার্স টিমের মতো উদ্যোগ চালু থাকলেও, মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। দত্তপুকুরে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ ঘটনা সেই আশঙ্কাকেই সামনে এনেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, গভীর রাতে দুই যুবক—শুভ সাহা ও সঞ্জয় দাস—এক তরুণীর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে যৌন নির্যাতন করে। ১৯ বছরের ওই তরুণী আলাদা ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন, আর পাশের ঘরে ছিলেন তাঁর মা। প্রথমে অভিযুক্তরা চিলেকোঠা দিয়ে ঢুকে মায়ের ঘরের দরজায় বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দেয়। এরপর তরুণীর ঘরে ঢুকে তাঁর মুখ ও গলা চেপে ধরে নির্যাতন চালায়। পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়, শরীরজুড়ে আঁচড়ের দাগও রয়েছে বলে অভিযোগ। কোনও রকমে পালিয়ে গিয়ে তরুণী মায়ের ঘর খোলেন, এর পরেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
নির্যাতিতার দাবি, যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা হুমকি দেয়—থানায় অভিযোগ করলে ‘আরজি কর হাসপাতালের মতো ঘটনা’ ঘটবে। তবুও সাহস করে তরুণী দত্তপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সঞ্জয় দাসকে গ্রেফতার করেছে, তবে শুভ সাহা এখনও পলাতক।
পরিবারের অভিযোগ, মামলা দায়েরের পর থেকে ক্রমাগত হুমকি আসছে। এমনকি গ্রামছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে, যার ফলে মা-মেয়ে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে আছেন। নির্যাতিতার মা জানান, “আমাকে বাইরে থেকে আটকে রেখে মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি কিছুই করতে পারিনি। এখনও হুমকি চলছে।”
এ বিষয়ে বারাসতের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরজনকে ধরতে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতের বেলায় দত্তপুকুর থানা এলাকার টহলদারি খুবই কম। এর ফলে মহিলাদের নিরাপত্তা বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে, আর সরাসরি পুলিশের ভূমিকা নিয়েই সমালোচনা শুরু হয়েছে।

No comments:
Post a Comment