ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির কথা ভাবার পর থেকেই দেশটির উপর একটি বড় হুমকি তৈরি হয়েছে: চীনা ডাম্পিং। ভারত সরকার এটি রোধ করার জন্য অসংখ্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে, বিশেষ করে গালওয়ান সংঘর্ষের পর। এখন, সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পথে, ভারত আবার সতর্ক হয়ে উঠেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত ইউনিট সরকারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ জারি করেছে। এর পরে, মনে করা হচ্ছে যে সরকার চীনা ডাম্পিং থেকে ভারতীয় বাজারকে রক্ষা করার জন্য চীনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে পারে। আসুন ব্যাখ্যা করা যাক সরকার কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
এই সুপারিশ সরকারের কাছে করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত ইউনিট, ট্রেড রেমিডিজ ডিরেক্টরেট জেনারেল (ডিজিটিআর) চীন থেকে আমদানি করা কোল্ড-রোল্ড নন-ওরিয়েন্টেড ইলেকট্রিক্যাল স্টিলের উপর পাঁচ বছরের জন্য অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য দেশীয় কোম্পানিগুলিকে সস্তা আমদানি থেকে রক্ষা করা। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ট্রেড রেমিডিজ (ডিজিটিআর) তাদের তদন্তে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে পণ্যটি তার স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে কম দামে ভারতে রপ্তানি করা হয়েছিল, যার ফলে ডাম্পিং হয়েছে। কিছু চীনা কোম্পানির জন্য সুপারিশকৃত শুল্ক প্রতি টন ২২৩.৮২ ডলার, অন্যদের জন্য এটি প্রতি টন ৪১৪.৯২ ডলার। একটি বিজ্ঞপ্তিতে, ডিজিটিআর জানিয়েছে যে কর্তৃপক্ষ পাঁচ বছরের জন্য অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সুপারিশ করছে।
ডাম্পিং শুল্ক কেন আরোপ করা হয়?
মহাপরিচালক শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপর নির্ভর করে। সস্তা আমদানি বৃদ্ধির ফলে দেশীয় শিল্পগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য দেশগুলি অ্যান্টি-ডাম্পিং তদন্ত পরিচালনা করে। এই শুল্কের উদ্দেশ্য হল ন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলন নিশ্চিত করা এবং দেশীয় উৎপাদক এবং বিদেশী উৎপাদক এবং রপ্তানিকারকদের জন্য সমান সুযোগ প্রদান করা। চীন সহ বিভিন্ন দেশ থেকে সস্তা আমদানি মোকাবেলায় ভারত ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পণ্যের উপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে।
১০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি
ভারত ও চীনের একে অপরের কাছে কতটা গুরুত্ব তা তাদের মধ্যে বাণিজ্যের দিকে তাকালে অনুমান করা যায়। ২০২৫ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ১২৭.৭১ বিলিয়ন ডলার। উল্লেখযোগ্যভাবে, চীনের সাথে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯৯.২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ অর্থবছরে চীন থেকে ভারতের আমদানি ছিল মোট ১১৩.৫ বিলিয়ন ডলার। ভারত বেশিরভাগ ইলেকট্রনিক্স, শিল্প যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র চীন থেকে আমদানি করে।
No comments:
Post a Comment