জলপাইগুড়ি: নারী শক্তির হাতেই পূজিতা হবেন মা দুর্গা। ৩০০ জন মহিলা মিলে আয়োজন করছেন পুজোর। আর তাদের এবারের দুর্গা পূজা মণ্ডপে তুলে ধরা হবে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পগুলি।
অত্যন্ত নিয়মনিষ্ঠা ও সাবেকি আনায় এই পুজো হয়ে আসছে প্রতি বছর। গোটা গ্রাম একত্রিত হয় এই পুজোয়। তবে সমস্ত দায়িত্বভার থাকে গ্রামের মহিলাদের ওপরেই। গোটা গ্রামের মূল কাণ্ডারী তথা গ্রামের প্রধান সোনা বালা রায় নিজে হাতে সমস্ত কিছু দেখভাল করেন। বলাবাহুল্য গ্রামের মহিলা প্রধানের হাত ধরেই এই পুজো হয়ে আসছে।
মাঠ ভর্তি কাশফুলের সঙ্গে মিশে রয়েছে পেঁজা তুলোর মত মেঘ। পুকুর ভরা পদ্মফুল। এ যেন পুকুরের বুকে আলপনার প্রলেপ। আর এই সময় গোটা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন সংগঠন মায়ের পূজো প্রস্তুতিতে চরম ব্যস্ত। কোথাও সাবেকিআনা, তো কোনও মণ্ডপে রকমারি থিমের ছাপ। ধূপগুড়ির ঢেংকালি বাজার সংলগ্ন মহামায়া মহিলা পরিচালিত সার্বজনীন দুর্গা পূজা ১৩ বছরের বিশেষ নিবেদন রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প।
থিম কিংবা সাবেকিআনা নতুন নয়। প্রয়াস নতুন নয়, তবে এ ক্লাবের মায়ের জন্য প্রস্তুতি পর্ব সারছেন ত্রিশক্তি। নারী পুরুষ বিভেদের বৃথা চেষ্টা বন্ধ করা উচিৎ। শুধুমাত্র নারী শক্তিকে প্রমাণ করতে চেনাশোনা ছকের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। ঘরের কাজ সামলে সমস্ত কিছু করে সমাজে ইতিবাচক বার্তা তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য। এই দশভূজারাও দিশা দেখাতে চাইছেন সমাজকে। তবে আর পাঁচটি সার্বজনীন দুর্গা পূজা উদ্যোক্তাদের মতন এই মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিও আবেদন রেখেছেন রাজ্য সরকারের কাছে যাতে আর্থিক সহায়তা তারাও পান।
গ্রামের মহিলা প্রধানের হাত ধরে মোট ৩০০ জন মহিলা গোটা এই পুজোর দায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। মহিলাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রামের পুরুষরাও। তারাও পাশে রয়েছেন, পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে আবেদন রেখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেন তাদের আর্থিক সহায়তা করেন।
No comments:
Post a Comment