চিকেন খাওয়ার বায়না! মায়ের নির্মম মারে মৃত্যু ৭ বছরের ছেলের - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, September 29, 2025

চিকেন খাওয়ার বায়না! মায়ের নির্মম মারে মৃত্যু ৭ বছরের ছেলের


ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫: 'মা' ছোট্ট এক অক্ষরের শব্দের গভীরতা কতটা, তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। 'মা' মানেই ভালোবাসার প্রতীক। কিন্তু সেই মা-ই যে এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাতে পারেন, তা হয়তো কল্পনাও করা যায় না; রাগে ৭ বছরের ছেলেকে বেলন দিয়ে এমন বেধড়ক মার মারেন যে, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘরে। আর ওই মায়ের রাগের কারণ আরও চমকে দেওয়ার মত; শিশুটি শুধুমাত্র চিকেন খাওয়ার বায়না করেছিল। এতেই রেগে গিয়ে শিশুটিকে বেলন দিয়ে মারতে শুরু করেন তাঁর মা। মাথায় ও শরীরে আঘাত লাগায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।‌ পুলিশ এই তথ্য দিয়েছে। 


জানা গিয়েছে, শিশুটি চিকেন খেতে চেয়ে বায়না করছিল। অভিযোগ, এতেই মা রেগে ওঠেন এবং তাকে বেলন দিয়ে মারধর করেন। এখানেই শেষ নয়, গুরুতর আঘাত থাকা সত্ত্বেও ওই মা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি। ফলস্বরূপ, চিকিৎসার আগে শিশুটি বাড়িতেই মারা যায়।


পালঘর জেলার ধনসার গ্রামের ঘোরিলা কমপ্লেক্সে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, স্থানীয়দের সন্দেহ হয় এবং তারাই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তৎক্ষণাৎ অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করে এবং মারধরে ব্যবহৃত বেলনটি বাজেয়াপ্ত করে। শিশুটির মৃত্যু মারধরের ফলে, চিকিৎসায় অবহেলার কারণে, নাকি অন্য কোনও কারণে হয়েছে তা নিয়ে পুলিশ আরও তদন্ত করছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে।


প্রতিবেদন অনুসারে, অভিযুক্ত মহিলা তাঁর স্বামীর থেকে আলাদা থাকতেন এবং তার দুই সন্তান ও দুই বোনের সাথে ঘোরিলা কমপ্লেক্সে থাকতেন। মৃত শিশুটির ১০ বছর বয়সী দিদিও এই ঘটনায় ভয়ে চুপসে রয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে অভিযুক্ত মা তাঁর ছেলের মৃত্যুর দায় স্বীকার করে নিয়েছেন।


পুলিশের মতে, ৪০ বছর বয়সী পল্লবী ঘুমড়ে চিকেন চাওয়ায় তার সন্তানদের নির্মমভাবে মারধর করেন। মারের চোটে তার ছেলে মারা যায়, আর তার মেয়ে আহত হয়। ছেলের বয়স সাত বছর এবং তার নাম চিন্ময় গণেশ ঘুমড়ে। মেয়ের বয়স ১০ বছর এবং তার চিকিৎসা চলছে। পালঘর পুলিশ পল্লবী ঘুমড়েকে ধানসারের তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে এবং আরও তদন্ত চলছে।


পালঘরের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট যতীশ দেশমুখ জানিয়েছেন যে, পল্লবী ঘুমড়ে তার পরিবারের সাথে কাশিপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। তিনি তার ছেলে চিন্ময়কে বেলন দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করেন। মারধরের সময় চিন্ময় মারা যায়। পল্লবী তার মেয়েকেও মারাত্মকভাবে মারধর করেন। মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন রয়েছে। পালঘর থানায় পল্লবীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ পল্লবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপরাধের ক্রম একত্রিত করার চেষ্টা করছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad