ওয়ার্ড ডেস্ক, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তিনি যদিও তাঁর নাম উল্লেখ করেননি। তবে জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক মন্তব্য ট্রাম্পকে দেওয়া বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বৈশ্বিক কার্যবল (গ্লোবাল ওয়ার্কফোর্স) একটি বাস্তবতা। বিশ্ব এই বৈশ্বিক কার্যবলের প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করতে পারে না। এই সময় তিনি জোর দিয়ে এও বলেন, অনেক দেশ তাদের নিজস্ব জনসংখ্যার শ্রম চাহিদা পূরণ করতে পারে না।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন, "এটি একটি সত্যতা। আপনি এর থেকে পালাতে পারবেন না। বৈশ্বিক কার্যবল রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হতে পারে, কিন্তু কেউ এটি থেকে বাঁচতে পারে না। আপনি যদি চাহিদা এবং জনসংখ্যার দিকে তাকান, তবে অনেক দেশেরই কেবল জাতীয় জনসংখ্যার কারণে চাহিদা পূরণ হয় না।"
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন এক বৈশ্বিক কার্যবল তৈরির আহ্বান জানান যা বেশি গ্রহণযোগ্য, সমসাময়িক এবং দক্ষ হবে। তিনি বলেন, "আমরা বৈশ্বিক কার্যবলের এক বেশি গ্ৰহণযোগ্য, সমসাময়িক, দক্ষ মডেল কীভাবে
কীভাবে বানাতে পারি, যা একটি বিতরিত, বৈশ্বিক কার্যস্থলে স্থিত হবে? আমার মনে হয় আজ এটি একটি খুব বড় প্রশ্ন যার সমাধান আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থাকে করতে হবে।"
বাণিজ্য ও শুল্ক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি অভিবাসন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের মধ্যে জয়শঙ্করের মন্তব্য এসেছে। এইচ-ওয়ানবি ভিসা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় আইটি এবং প্রযুক্তি পেশাদারদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি খুঁজে পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পরিসংখ্যান অনুসারে, এই ভিসার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সুবিধাভোগী হলেন ভারতীয়। এই ভিসার অধীনে, কোম্পানিগুলি আইটি, চিকিৎসা এবং প্রকৌশলের মতো ক্ষেত্রে বিদেশী পেশাদারদের নিয়োগ করতে পারে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন এইচ-ওয়ানবি ভিসার ওপর এক লক্ষ ডলারের নতুন ফি আরোপ করেছে। এই ফি আগে থেকেই বিদ্যমান ফাইলিং এবং আইনি খরচের অতিরিক্ত হবে, এতে ভিসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।

No comments:
Post a Comment