কম ঘুম, রাত জেগে কাজ করার সংস্কৃতি ---- বাড়ন্ত হৃদরোগের কারণ! এড়াতে কী টিপস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ? - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, September 30, 2025

কম ঘুম, রাত জেগে কাজ করার সংস্কৃতি ---- বাড়ন্ত হৃদরোগের কারণ! এড়াতে কী টিপস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ?


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫: আজকের দ্রুতগতির জীবনে, রাত জেগে কাজ করা এবং অনিয়মিত ঘুম একটি সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি মনে করেন যে এই অভ্যাসগুলি কেবল শারীরিক ক্লান্তির সাথে সম্পর্কিত, তবে ভুল ভাবছেন। হ্যাঁ, এই অভ্যাসগুলির দীর্ঘমেয়াদ একজন ব্যক্তির হৃদরোগের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ২৯ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৫ বিশ্বজুড়ে পালিত হয়। হৃদয় সংক্রান্ত রোগ এবং হৃদয়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই বিশেষ দিনটি পালিত হয়। এই বিশেষ উপলক্ষে, আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে রাত জেগে কাজ করা এবং কম ঘুমের অভ্যাস সরাসরি হৃদরোগের সাথে সম্পর্কিত। বসন্ত কুঞ্জের ফোর্টিস হাসপাতালের কার্ডিওলজি পরামর্শদাতা ডাঃ পূর্ণেশ্বর কুমার পাণ্ডের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরিচালিত অসংখ্য আন্তর্জাতিক এবং ভারতীয় গবেষণা নিশ্চিত করে যে ঘুমের অভাব এবং রাত জেগে কাজ করার প্রবণতা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে:-


ঘুমের অভাব এবং হৃদরোগ

ডাঃ পূর্ণেশ্বর কুমার পাণ্ডের মতে, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের জন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা গভীর, নিবিড় ঘুম অপরিহার্য। যখন ঘুম নিয়মিতভাবে অপর্যাপ্ত হয়, তখন শরীরে কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই হরমোনগুলি দীর্ঘ সময় ধরে রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করে, যা হৃদপিণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। তাছাড়া, ঘুমের অভাব ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা ডায়াবেটিস এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়ায়। এই দুটি কারণই হৃদরোগের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়।


হৃদরোগের ওপর দেরী-রাতের কাজের সংস্কৃতির প্রভাব-

আইটি, মিডিয়া, স্টার্টআপ এবং কর্পোরেট সেক্টরে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা একটি প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাতের গভীর পর্যন্ত কাজ করার ফলে শরীরের সার্কাডিয়ান ছন্দ (বডি ক্লক) ব্যাহত হয়। এই ভারসাম্যহীনতার ফলে হরমোনের পরিবর্তন, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যারিথমিয়া দেখা দেয়। অধিকন্তু, যারা দেরী করে কাজ করেন তারা প্রায়শই জেগে থাকার জন্য ক্যাফেইন, জাঙ্ক ফুড বা ধূমপানের আশ্রয় নেন, যা ইতিমধ্যেই দুর্বল হৃদরোগের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।


হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ এবং সমাধান

ডঃ পূর্ণেশ্বর কুমার পাণ্ডের মতে, হৃদরোগের ঝুঁকি রোধ করার জন্য জীবনযাত্রার ছোট ছোট পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন:-


প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ ঘন্টা ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন এবং নিয়মিত ঘুমানোর সময় বজায় রাখুন।


-আপনাকে যদি গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়, তাহলে বিশ্রামের জন্য ১০-১৫ মিনিটের বিরতি নিন।


-অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ এড়িয়ে চলুন।


-আপনার দৈনন্দিন রুটিনে হালকা শারীরিক কার্যকলাপ, যোগব্যায়াম এবং ধ্যান অন্তর্ভুক্ত করুন।


-নিয়মিত আপনার রক্তচাপ, রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরল পরীক্ষা করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad