গত রাতে, পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) এর একটি বিশেষ দল ছিন্দোয়ারা জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকার রাজপাল চক থেকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রবীণ সোনিকে গ্রেপ্তার করেছে। একটি ওষুধ কোম্পানি এবং ডাঃ সোনির বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি পৃথক মামলার প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মামলাগুলি শিশুদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি কাশির সিরাপ সম্পর্কিত, যার ফলে কিডনি সংক্রমণে নয়জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই শিশুদের মধ্যে সাতজনকে ডাঃ সোনির ব্যক্তিগত ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, যেখানে তাদের কোল্ডরিফ এবং নেস্ট্রো ডিএস প্রেসক্রাইব করা হয়েছিল।
পারাসিয়া সিভিল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সোনি সেই সময় ১৫ দিনের ছুটিতে ছিলেন এবং তার ব্যক্তিগত ক্লিনিকে শিশুদের চিকিৎসা করছিলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, তার স্ত্রী তার ক্লিনিকের পাশেই "আপনা মেডিকেল" নামে একটি মেডিকেল স্টোর চালান, যেখানে এই ওষুধগুলি বিক্রি করা হত। এই ঘটনা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে একই ওষুধ দেওয়া আরও ১৪ জন শিশু এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ওষুধগুলি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে এবং ১৪ জন শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী একটি ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্তে আরও জানা গেছে যে ডাঃ সোনি শিশুদের এই কাশির সিরাপগুলি সুপারিশ করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ছিল।
একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে, ডাঃ সোনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, "ঔষধ লিখে দেওয়া ডাক্তারের কাজ। ওষুধ আসল না নকল তা নির্ধারণ করা সরকারের কাজ।" তার বক্তব্য বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়েছে। এই ঘটনা স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধ বিতরণ ব্যবস্থার ত্রুটিগুলি প্রকাশ করে দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছে এবং ওষুধের মান নিয়ে জনসাধারণের উদ্বেগ বাড়ছে। তদন্তের ফলাফল এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment