ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৪ অক্টোবর ২০২৫: অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলার চলন্ত বাসে আগুন লেগে মৃত্যু মিছিল। দুর্ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে বেঙ্গালুরুগামী বাসটিতে ভয়াবহ আগুন লেগে কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী নিহত এবং ১২ জন সামান্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ চিন্না টেকুরের কাছে হায়দ্রাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী বেসরকারি একটি এসি বাসে আগুন লাগে। বাসের জানালা ভেঙে লাফিয়ে পড়ে প্রায় ২১ জন প্রাণ বাঁচতে সক্ষম হন। যারা পালাতে পারেননি তাঁরা দগ্ধ হয়ে মারা যান। একটি মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কার এবং এর ফলে জ্বালানি লিকেজ হওয়ার কয়েক মিনিট পরেই বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আহত ১১ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু।
তিনি এক্স পোস্টে লিখেছেন, "কুর্নুল জেলার চিন্না টেকুর গ্রামের কাছে ভয়াবহ বাস অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমি মর্মাহত। যারা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। সরকারি কর্তৃপক্ষ আহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করবে।"
দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সমাজমাধ্যম পিএমও-এর এক্স পোস্টে লেখা হয়েছে, 'অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলায় দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় আমি অত্যন্ত শোকাহত। এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।'
আরও লেখা হয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী জাতীয় তহবিল থেকে নিহতদের আত্মীয়স্বজনদের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।'
বাসের অতিরিক্ত চালকের মতে, তাঁরা প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তাঁরা বাসের জানালা ভাঙার চেষ্টা করেন। পথচারীরাও কিছু জানালা ভেঙে ফেলেন। কুর্নুলের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট জানিয়েছেন যে, যারা বাস থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা বেঁচে গেছেন।
জেলা কালেক্টরের মতে, বাসটিতে দুই চালক সহ ৪১ জন ছিলেন। বর্তমানে ২১ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে এবং বাকি ২০ জনের মধ্যে ১১ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। দুই চালকই পলাতক। বলা হচ্ছে, আগুন লাগার পর বাসের দরজা বন্ধ করে দেওয়া। খবর পেয়ে দমকল ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আহতদের কুর্নুলের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করেছে এবং তদন্ত করছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ডিআইজি কোয়া প্রবীণ বলেন, বাইকের ধাক্কায় আগুন লেগে যাওয়া এবং বাসের ভেতরে থাকা দাহ্য পদার্থও অনেকের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাসের জ্বালানি ট্যাঙ্ক অক্ষত রয়েছে এবং উল্লেখ করেছেন যে, এই ধরণের অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ বা প্রশমনের জন্য গাড়িতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাব ছিল।



No comments:
Post a Comment