লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০১ নভেম্বর ২০২৫: ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। তবুও, বেশিরভাগ মানুষেরই এর অভাব হয়। ভিটামিন ডি-এর কম মাত্রা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয় এবং বিভিন্ন সমস্যা যেমন বিষণ্ণতা, চুল পড়া, ক্লান্তি, হাড়ের ব্যথা ইত্যাদির কারণ হতে পারে। তাই, ভিটামিন ডি-এর অভাব এড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষ প্রায়শই ভিটামিন ডি-এর অভাব কাটিয়ে উঠতে পরিপূরক গ্রহণ করে, তবে এটি প্রাকৃতিকভাবেও সমাধান করা যেতে পারে। আসুন ভিটামিন ডি-এর অভাব কাটিয়ে ওঠার তিনটি প্রাকৃতিক উপায় জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদন -
১- সঠিক সময়ে সূর্যের আলো নেওয়া -
সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর সর্বোত্তম প্রাকৃতিক উৎস। যখন আমাদের ত্বক সূর্যের ইউভি-বি রশ্মির সংস্পর্শে আসে, তখন এটি কোলেস্টেরলকে ভিটামিন ডি-তে রূপান্তর করতে শুরু করে। তবে, সূর্যের সংস্পর্শে আসার সঠিক সময় এবং সময়কাল নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক সময়: সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে সূর্যের আলো সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়, কারণ এই সময়ে ইউভি-বি-এর মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।
সময়কাল: প্রতিদিন প্রায় ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকা যথেষ্ট। এর জন্য, হাত, পা এবং মুখ সানস্ক্রিন ছাড়াই সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখা উচিৎ।
সতর্কতা: তীব্র রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকার ফলে ট্যান পড়তে পারে, তাই সময়সীমা মেনে চলুন। গ্রীষ্মকালে এটা না করাই ভালো।
২- ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ একটি খাদ্য
খাদ্যতালিকা যদিও সূর্যালোকের মতো ভিটামিন ডি সরবরাহ করতে পারে না, তবুও আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে এই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। এই খাবারগুলি দুটি বিভাগে বিভক্ত; প্রাকৃতিক উৎস এবং সুরক্ষিত খাবার।
প্রাকৃতিক উৎস: স্যামন, টুনা এবং ম্যাকেরেলের মতো চর্বিযুক্ত মাছ ভিটামিন ডি-এর চমৎকার উৎস। ডিমের কুসুম, মেটে এবং কিছু মাশরুমেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। নিরামিষাশীদের জন্য মাশরুম একটি চমৎকার বিকল্প।
সুরক্ষিত খাবার: আজকাল পাওয়া যায় এমন অনেক খাবার, যেমন দুধ, দই, কমলার রস এবং সিরিয়াল, ভিটামিন ডি-তে সুরক্ষিত। প্যাকেজিংয়ের লেবেলগুলি পরীক্ষা করে দেখুন।
৩- নিয়মিত ব্যায়াম এবং বাইরের কার্যকলাপ
শারীরিক কার্যকলাপ এবং একটি সুস্থ জীবনধারা সরাসরি ভিটামিন ডি-এর মাত্রার সাথে সম্পর্কিত। ব্যায়াম কেবল আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, এটি আপনার শরীরের ভিটামিন ডি সংশ্লেষণ এবং ব্যবহারের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
বাইরের কার্যকলাপ - প্রতিদিন বাইরে হাঁটা, জগিং, সাইক্লিং বা বাগান করার মতো কার্যকলাপের জন্য বের হন। এটি আপনাকে ব্যায়াম এবং রোদ উভয়েরই সুবিধা দেবে।
ওজন ব্যবস্থাপনা - স্থূলতা ভিটামিন ডি শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, কারণ এটি একটি চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন। নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
বি.দ্র: এই প্রতিবেদনে দেওয়া টিপস শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। কোনও ফিটনেস প্রোগ্রাম শুরু করার আগে, আপনার খাদ্যতালিকায় কোনও পরিবর্তন আনার আগে বা কোনও রোগের জন্য কোনও প্রতিকার গ্রহণ করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ কোনও দাবীর সত্যতা নিশ্চিত করে না।

No comments:
Post a Comment