জবা ফুল শুধু সুন্দরই নয়, এতে রয়েছে বহু ঔষধি গুণ। দেব-দেবীদের পূজায় এটি ব্যবহার করা হয়, আবার স্বাস্থ্যের জন্যও এটি অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে শীতকালে জবা ফুলের হরবাল চা (Hibiscus Tea) পান করলে বহু রোগ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, জবা চা শরীরকে কী কী উপকার দেয়।
জবা চায়ের উপকারিতা
১. রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
ভারতের আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের মতে, নিয়মিত জবা চা পান করলে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি ওজন কমাতেও সহায়তা করে।
২. উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী
হাই ব্লাড প্রেশার (হাইপারটেনশন) রোগীরা জবা চা পান করলে উপকার পেতে পারেন। এতে থাকা বিশেষ উপাদান রক্তনালিকে শিথিল করে এবং স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ কমায়। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়।
৩. হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়
জবা চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৪. মেটাবলিজম বাড়ায়
জবা চা বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) বৃদ্ধি করে। শরীরের অতিরিক্ত পানি ও লবণ বের করে দেয়। এতে ক্যালোরি কম থাকায় এটি নিয়মিত পান করা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি উপকারী—ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখে।
৫. লিভার ভালো রাখে ও ইমিউনিটি বাড়ায়
জবা চা লিভারকে সুস্থ রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
জবা চা তৈরির সহজ রেসিপি
উপকরণ:
২ কাপ জল
২–৩টি তাজা জবা ফুল (ভালোভাবে ধোয়া)
প্রস্তুত প্রণালি:
1. একটি পাত্রে ২ কাপ জল নিন।
2. ধোয়া জবা ফুল জলে দিয়ে ফুটতে দিন।
3. পানি কিছুটা কমে এলে চুলা বন্ধ করুন।
অথবা এক কাপ জল ফুটিয়ে তাতে জবা ফুল দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট রেখে দিন।
4. এরপর ছেঁকে গরম অবস্থায় পান করুন।
সতর্কতা ও পরামর্শ
দিনে ১–২ কাপের বেশি জবা চা পান করবেন না।
বেশি পান করতে চাইলে ডাক্তার বা আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
গর্ভবতী নারী ও লো ব্লাড প্রেশার–এর রোগীরা পান করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

No comments:
Post a Comment