'অরুণাচল চীনের অংশ, ভারতীয় পাসপোর্ট অবৈধ', সাংহাই বিমানবন্দরে মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, November 24, 2025

'অরুণাচল চীনের অংশ, ভারতীয় পাসপোর্ট অবৈধ', সাংহাই বিমানবন্দরে মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার


ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৪ নভেম্বর ২০২৫: অরুণাচল প্রদেশের এক মহিলা অভিযোগ করেছেন যে চীনের আধিকারিকরা তার ভারতীয় পাসপোর্ট চিনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, অভিবাসন আধিকারিকরা এও বলেন যে, অরুণাচল প্রদেশকে চীনের অংশ। তিনি দাবী করেছেন যে, সাংহাই বিমানবন্দরে চীনা অভিবাসন কর্তারা তাঁর সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন, হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং ঘন্টার পর ঘন্টা হেনস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মহিলা ব্রিটেনে থাকেন।


ওই মহিলার নাম প্রেমা ওয়াংজম থঙ্কডোক। ২১শে নভেম্বর তিনি লণ্ডন থেকে জাপান যাচ্ছিলেন। এই ভ্রমণের সময়, তিনি সাংহাই পুডং বিমানবন্দরে ট্রানজিট হল্টের জন্য থামেন। মহিলার অভিযোগ, ইমিগ্রেশন কাউন্টারের আধিকারিকরা তাঁর পাসপোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেন। এর কারণ তাঁর জন্মস্থান অরুণাচল প্রদেশ লেখা ছিল। আধিকারিকরা তাঁকে বলেন, অরুণাচল প্রদেশ চীনের অংশ।


ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহিলা বলেন, "ইমিগ্রেশনের পর, আমি আমার পাসপোর্ট জমা দিয়ে নিরাপত্তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। একজন অফিসার এসে আমার নাম ধরে "ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া" বলে চিৎকার করতে শুরু করেন। তিনি আমার দিকে ইশারাও করেন। মহিলার কথানুযায়ী, 'আমি যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন করি, তখন তিনি আমাকে ইমিগ্রেশন ডেস্কে নিয়ে যান এবং বলেন, "অরুণাচল, বৈধ পাসপোর্ট নয়।" যখন মহিলা এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে তাঁর ভারতীয় পাসপোর্ট কেন অবৈধ? তখন আধিকারিক উত্তর দেন, "অরুণাচল চীনের অংশ।"


প্রেমা তখন মনে করেন, তিনি গত বছরও সাংহাইয়ে ট্রানজিট করেছিলেন, কিন্তু এরকম কিছুই ঘটেনি। মহিলা এও বলেন যে, আরও বেশ কয়েকজন ইমিগ্রেশন আধিকারিক এবং চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের কর্মীরা তাঁকে নিয়ে উপহাস করেন, এমনকি এই লোকেরা তাঁকে চীনা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পরামর্শও দিয়ে বসেন। প্রেমা আরও অভিযোগ করেন যে, তাঁর পাসপোর্ট পরবর্তীতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। ফলস্বরূপ, বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও তিনি জাপানের ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।



এই পুরো ঘটনাক্রমের পর, তিনি একজন ব্রিটিশ বন্ধুর সহায়তায় সাংহাইয়ের ভারতীয় কনস্যুলেটে পৌঁছাতে সক্ষম হন। সেখানকার ভারতীয় আধিকারিকরা তাঁকে সহায়তা করেন। প্রেমা এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে, প্রেমা লিখেছেন যে, তিনি মনে করেন এই ঘটনাক্রমে তিনি ভারতীয় সার্বভৌমত্ব এবং অরুণাচল প্রদেশের নাগরিকদের প্রতি অপমান অনুভব করেন। তিনি ভারত সরকারকে অনুরোধ করেন, বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়টি যেন উত্থাপন করা হয় ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad