নিউ ইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি ২১শে নভেম্বর হোয়াইট হাউসে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় দু’জনের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ চললেও এই বৈঠক সেই দূরত্ব অনেকটাই কমিয়ে এনেছে।
বৈঠকের পর দুই নেতা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকরা বারবার অতীতের মন্তব্য—যেমন কমিউনিস্ট, ফ্যাসিস্ট, জিহাদি—নিয়ে প্রশ্ন করলেও, দু’জনই সেসব এড়িয়ে গিয়ে ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করার দিকেই গুরুত্ব দেন।
পুরনো মন্তব্য নিয়ে হাসিঠাট্টা
এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন কেন তিনি একসময় মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলেছিলেন। ট্রাম্প হাসতে হাসতে বলেন, “তার কিছু দৃষ্টিভঙ্গি একটু আলাদা। দেখি কীভাবে কাজ হয়। প্রয়োজনে আমরা সবাই বদলে যাব।”
আরেক প্রশ্নে সাংবাদিক জানতে চান—ট্রাম্প কি এখনো মামদানিকে ‘জিহাদি’ বলবেন? ট্রাম্প সরাসরি “না” বলে জানান, নির্বাচনী সমাবেশে অনেক সময় বাড়াবাড়ি মন্তব্য করতে হয়।
মামদানির অতীত মন্তব্য—যেখানে তিনি ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলেছিলেন—নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মামদানি বলেন, এখন মূল ব্যাপার হলো নিউ ইয়র্কবাসীর সেবা করা।
ট্রাম্পও মজা করে বলেন, “আমাকে এর থেকেও খারাপ নামে ডাকা হয়েছে, তাই এতে সমস্যা নেই।”
দু’জনের লক্ষ্য—নিউ ইয়র্ককে আরও ভালো করা
বৈঠকটি ছিল প্রশংসা, হাসি এবং সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিতে ভরা। ট্রাম্প বলেন—
“আমি চাই আপনি ভালো কাজ করুন, আমরা আপনাকে সাহায্য করব।”
ট্রাম্প জানান, মামদানির অনেক পরিকল্পনা তার নিজের ভাবনার সঙ্গে মিল আছে—
অপরাধ কমানো
নতুন আবাসন নির্মাণ
ভাড়া ও জীবনযাত্রার খরচ কমানো
ট্রাম্প বলেন, “আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। তার অনেক মতই আমার সঙ্গে মিলে যায়।”
নিউ ইয়র্কের তহবিল বন্ধ হবে না
নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বলেছিলেন, মামদানি জিতলে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল তহবিল বন্ধ হতে পারে। তবে বৈঠকের পর তিনি স্পষ্ট জানান—
“আমার লক্ষ্য তাদের সাহায্য করা, সমস্যা তৈরি করা নয়।”
তিনি আরও বলেন যে মামদানির নেতৃত্বে নিউ ইয়র্ক চালাতে তিনি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী।
নিউ ইয়র্ক সিটি ২০২৫ অর্থবছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ফেডারেল তহবিল পেয়েছে, যা শিক্ষা, আবাসন, সামাজিক সেবা এবং নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

No comments:
Post a Comment