ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৫ নভেম্বর ২০২৫: এসআইআরের আবহে বিএলওদের আত্মহত্যার মত একের পর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসছে। এই আবহেই স্নানঘর থেকে এক বিএলও-এর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। গুজরাটের সুরাটের এই ঘটনায় সোমবার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এখন তদন্ত করছে কীভাবে এই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ নিবিড় পর্যালোচনা (এসআইআর) চলছে।
গুজরাটেও বিএলও হিসেবে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের মৃত্যুর খবর ক্রমাগত সামনে আসছে। সুরাট পৌর কর্পোরেশনে কর্মরত একজন মহিলা বিএলওর আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে, তাঁর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গিয়েছে, সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে কর্মরত বিএলও ডিঙ্কল সিঙ্গোদিওয়ালা (২৬)-কে তাঁর বাড়ির স্নানঘরে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর পরিবার তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পুরো পরিবার শোকে আচ্ছন্ন। ডিঙ্কল সিঙ্গোদিওয়ালাকে এসআইআরের অধীনে বিএলও পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। পুলিশ এখন তার মৃত্যুর কারণ তদন্ত করছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুরাটের ডেপুটি কালেক্টর নেহা সাভানা বলেন যে, ডিঙ্কল সিঙ্গোদিওয়ালা একজন খুব ভালো বিএলও ছিলেন এবং ইতিমধ্যেই তাঁর এলাকার ৪৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, তিনি স্নানঘরে গিয়েছিলেন। সেখানে কোনও বায়ুচলাচল ছিল না। মনে হচ্ছে গ্যাস গিজার থেকে বিষাক্ত গ্যাস প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কোনও কাজের চাপ ছিল না, কারণ তিনি তাঁর এলাকার সেরা ছিলেন এবং ইতিমধ্যেই ৪৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছেন। তিনি আরও বলেন, 'যদি কোনও বিএলও-র কোনও সমস্যা হয়, তিনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করি।'
এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এলেই জানা যাবে এটি একটি মর্মান্তিক পারিবারিক দুর্ঘটনা নাকি সিস্টেমিক স্ট্রেনের সাথে সম্পর্কিত প্রতিরোধযোগ্য ক্ষতি।

No comments:
Post a Comment