লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৩ নভেম্বর ২০২৫: আপনি কি প্রতিদিন সকালে এক অদ্ভুত অস্বস্তির অনুভূতি নিয়ে ঘুম থেকে ওঠেন? আপনার জীবনের ছোট-বড়, প্রতিটি সিদ্ধান্তের ওপর কি অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগ বা অ্যাংজাইটি প্রভাব ফেলছে? যদি তাই হয়, তাহলে এই একটু সাবধান। আজকের দ্রুতগতির জীবনে, উদ্বেগ আমাদের মনে চুপচাপ জায়গা করে নিয়েছে। এটি এমন একজন অতিথি যিনি বিনা আমন্ত্রণে আসেন এবং যেতেও চান না। তবে আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসের কিছু পরিবর্তন করে এই অনামন্ত্রিত অতিথিকে চিরতরে তাড়িয়ে দিতে পারেন। অ্যাংজাইটি কমিয়ে দিতে পারে এমন ৫ টি অভ্যাস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদন।
১- যোগব্যায়াম ও ধ্যান
নিয়মিত যোগব্যায়াম ও ধ্যান মনকে শান্ত করে এবং চাপ কমায়। যোগাসন এবং প্রাণায়াম, যেমন গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিটের ধ্যানও আপনাকে বর্তমানের সাথে থাকতে এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
২- সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য
আপনার খাদ্যাভ্যাস সরাসরি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে, তাই প্রতিদিন সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। চিনিযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা ব্যাহত করতে পারে এবং মেজাজের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (আখরোট, মাছ), ম্যাগনেসিয়াম (সবুজ শাকসবজি) এবং বি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
৩- নিয়মিত ব্যায়াম
শারীরিক কার্যকলাপ স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল কমায় এবং এন্ডোরফিন নামক "ভালো লাগা" হরমোন বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হালকা হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো অথবা আপনার পছন্দের যেকোনও ব্যায়াম করুন। এটি আপনার মনকে বিভ্রান্ত করার এবং উদ্বেগ কমানোর একটি দুর্দান্ত উপায়।
৪- ভালো ঘুম
ঘুমের অভাব উদ্বেগ বাড়াতে পারে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ভালো, গভীর ঘুম নেওয়ার চেষ্টা করুন। ঘুমানোর আগে স্ক্রিন টাইম (মোবাইল ফোন, টিভি) এড়িয়ে চলুন, নিয়মিত ঘুমানোর সময় নির্ধারণ করুন এবং আপনার শোওয়ার ঘর শান্ত ও আরামদায়ক রাখুন।
৫- সামাজিক সংযোগ
একাকীত্ব উদ্বেগ বাড়াতে পারে। এই ক্ষেত্রে, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে নিয়মিত সময় কাটান। আপনার বিশ্বাসী কারও সাথে আপনার অনুভূতি ভাগ করুন। সামাজিক সংযোগ মানসিক সমর্থন প্রদান করে এবং একাকীত্ব কমাতে সাহায্য করে। এই অভ্যাসগুলি গ্রহণ করে, আপনি ধীরে ধীরে আপনার উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং একটি সুখী, চাপমুক্ত জীবনযাপন করতে পারেন।
আর এরপরেও উদ্বেগ বা অ্যাংজাইটি যাই বলুন, যদি দূর না হয়, তাহলে একবার আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

No comments:
Post a Comment