লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৫ নভেম্বর ২০২৫: আজকাল, মানুষ ওজন বৃদ্ধির সমস্যা নিয়ে চিন্তিত। ওজন কমানোর জন্য অনেকৈই সম্ভাব্য সকল উপায় চেষ্টা করেন, কিন্তু এটি অত্যন্ত কঠিন হয়ে ওঠে। ওজন কমানোর জন্য, মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা জিমে ঘাম ঝরানো থেকে ডায়েট অনুসরণ করেন। এছাড়াও, তাঁরা তাঁদের খাদ্যতালিকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করেন। আর এই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে, আমরা কীভাবে ডিম ভুলে যেতে পারি? ডিম একটি জনপ্রিয় ওজন কমানোর বিকল্প এবং এটি প্রায়শই একটি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। ডিমে পাওয়া পুষ্টির মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ভালো চর্বি এবং অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন। তবে, ওজন কমানোর জন্য ডিম কীভাবে খাবেন; সেদ্ধ, পোচ, নাকি অমলেট, এ নিয়ে মানুষ প্রায়শই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। তাহলে, আসুন এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক-
আপনি ডিম সিদ্ধ করুন, পোচ করুন অথবা অমলেট প্রতিটির স্বাদ আলাদা। আর যেহেতু ডিম বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত করা হয়, তাই এগুলি হজম হতেও ভিন্ন-ভিন্ন সময় নেয়।
আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি (এসিএস) একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে, যেখানে গবেষকরা একটি পরীক্ষাগারে একটি সিমুলেটেড পাচনতন্ত্র তৈরি করেছেন, যা একজন বয়স্ক ব্যক্তির পেটের অনুকরণ করে, যার পাচনতন্ত্র দুর্বল। তারা বিভিন্ন উপায়ে রান্না করা ডিমের হজম ক্ষমতা পরীক্ষা করেছেন। ফলাফলে দেখা গেছে যে, একটি পোচ করা ডিম হজম করা সবচেয়ে সহজ, প্রোটিন এবং চর্বি সবচেয়ে ভালোভাবে শোষণ করে। একটি সিদ্ধ ডিমও ভালোভাবে হজম হয়, তবে একটি পোচ করা ডিমের তুলনায় কিছুটা বেশি সময় নেয়। অন্যদিকে একটি অমলেট হজম করা সবচেয়ে ধীর ছিল, বিশেষ করে যাদের হজমশক্তি দুর্বল, তাদের জন্য প্রোটিন শোষণ ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
ওজন কমানোর জন্য কীভাবে ডিম খাওয়া উচিৎ তা
এই গবেষণায় নির্দিষ্ট করা হয়নি, তবে এর ফলাফল ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমানোর দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সঠিক প্রোটিন ব্যবহার এবং কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার।
সিদ্ধ বা পোচ করা ডিম খেলে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে কারণ এতে ঘি বা মাখন থাকে না। তবে, যখন একটি অমলেট তৈরি করা হয়, তখন অনেক সময় চিজ, মাখন এবং তেল যোগ করা হয়, যা এর ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
তাহলে ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিম কীভাবে খাওয়া উচিৎ? এর সহজ উত্তর হল, কেউ যদি তাঁর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাহলে সেদ্ধ বা কম তেল দিয়ে রান্না ডিম খান। প্রয়োজনে কুসুম বাদ দিয়ে খান। সবচেয়ে ভালো, এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

No comments:
Post a Comment