প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০০:০১ : একটি বাড়ির সবকিছুই বাস্তুশাস্ত্রের সাথে যুক্ত। শাস্ত্রে কেবল ঘর এবং জিনিসপত্রের দিক উল্লেখ করা হয়নি, বরং প্রতিটি ছোট-বড় বিবরণ বাড়ির শক্তির সাথে যুক্ত। বলা হয় যে নেতিবাচক শক্তি কখনই প্রকৃতির সাথে সংযুক্ত বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে না। এই কারণেই মানুষ ভেতরে এবং বাইরে উভয় দিকেই গাছ লাগায়। গাছপালা যেমন শান্তি নিয়ে আসে, তেমনি তারা ঘরকে শান্ত, ইতিবাচক ভাব দিয়ে ভরিয়ে দেয়। প্রকৃতির আরেকটি প্রতীক, পাখির বাসাও শক্তির সাথে যুক্ত। তবে, বাড়িতে পাখির বাসার অবস্থান এবং অবস্থা নির্ধারণ করে যে এটি শুভ নাকি অশুভ।
যদি পাখিরা বারান্দায় বাসা তৈরি করে, তাহলে মানুষ ভাবতে শুরু করে যে এটি শুভ নাকি অশুভ। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বারান্দায় পাখির বাসা তৈরি করা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এটি বাড়িতে শান্তি এবং সুখ নিয়ে আসে। এটি সৌভাগ্যের সাথেও জড়িত। তাছাড়া, ঘরের বাইরে গাছ বা গাছে পাখির বাসা থাকা শুভ বলে মনে করা হয়। তবে, ঘরে, জানালার উপরে বা সুইচবোর্ডের কাছে পাখির বাসা থাকা অশুভ বলে মনে করা হয়।
শাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে চড়ুই, ময়না এবং তোতা পাখির বাসার উপস্থিতি সুসংবাদের ইঙ্গিত দেয়। তাদের বাসা সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। তাছাড়া, বাড়িতে অন্য কোনও পাখির উপস্থিতিও শুভ নয়। মনে রাখা উচিত যে পাখি প্রকৃতির শক্তির সাথে সম্পর্কিত, এবং তাই, তারা ঘরে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। তবে, ভাঙা পালক এবং বাড়ির ভিতরে পাওয়া শুকনো কাঠ অশুভ বলে মনে করা হয়। এই জিনিসগুলি ঘরে ইতিবাচক আবেগ বয়ে আনে না।

No comments:
Post a Comment