লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫: শীতের ঠাণ্ডা হাওয়া ত্বকের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়, যার ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। কখনও কখনও ঠোঁট এতটাই ফাটে যে রক্তপাত শুরু হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, লোকেরা বাজারে পাওয়া দামি লিপ বাম ব্যবহার করেন, কিন্তু এর প্রভাব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তাছাড়া, রাসায়নিক উপাদানের কারণে, ঠোঁট কালো হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে, ঘরোয়া প্রতিকারগুলিকে সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করা হয়। এমনই ৪টি স্ক্রাব সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যা ঠোঁটকে নরম, গোলাপী এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এগুলির জন্য খুব বেশি খরচ করতে হবে না এবং আপনি কয়েক দিনের মধ্যে ফলাফল দেখতে পাবেন।
১. দারুচিনি এবং নারকেল তেল
চা এবং খাবারের স্বাদ বাড়ানো দারুচিনিকে ঠোঁটের যত্নের রুটিনে যোগ করতে পারেন। এর জন্য, একটি পাত্রে দুই চা চামচ বাদামী চিনি নিন। তারপর দুই চা চামচ নারকেল তেল, এক চা চামচ দারুচিনি এবং এক চা চামচ মধু যোগ করুন। সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে আলতো করে ঠোঁট ঘষুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি করলে ফলাফল দেখা যাবে।
২. ওটমিল এবং মধু
ওটস ত্বকের জন্য যেমন উপকারী, তেমন ঠোঁটের জন্যও উপকারী। আপনার ঠোঁটের যত্ন নিতে, একটি পাত্রে গুঁড়ো ওটস রাখুন। এতে সামান্য চিনি, এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ ভেজিটেবল তেল যোগ করুন। এই মিশ্রণটি ভালো করে মিশিয়ে আলতো করে ঠোঁটে ঘষুন। কিছুক্ষণ পর, হালকা গরম জলে ভিজিয়ে রাখা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। তারপর, ময়েশ্চারাইজার লাগান।
৩. সামুদ্রিক লবণ এবং গোলাপ জল
এই স্ক্রাব তৈরি করতে, ১০০ শতাংশ ভেজিটেবল গ্লিসারিন এবং গোলাপ জলের সাথে সামান্য সামুদ্রিক লবণ মিশিয়ে নিন। স্ক্রাবটির গঠন যেন দানাদার হয় যাতে এটি সহজেই আপনার ঠোঁটে ঘঁষতে পারেন। কয়েক মিনিটের জন্য এটি আপনার ঠোঁটে আলতো করে ঘষুন, তারপর টিস্যু দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলুন।
৪. মধু এবং লেবু
এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে চিনি, মধু এবং যেকোনও তেলের প্রয়োজন হবে। প্রথমে একটি পাত্রে তিন চা চামচ চিনি, তারপর আধা চা চামচ তেল এবং আধা চা চামচ মধু যোগ করুন। সঠিক ঘনত্বের জন্য আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পরিমাণ সামঞ্জস্য করতে পারেন। এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে সপ্তাহে একবার বা দু'বার আপনার ঠোঁটে আলতো করে ২-৩ মিনিটের জন্য ঘঁষুন। তারপর, এটি ধুয়ে ফেলুন এবং আপনার ঠোঁটে তেল লাগান।
বি.দ্র: ত্বকের যত্নে যে কোনও কিছু ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

No comments:
Post a Comment