বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও তাঁর স্বামী, ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার সমস্যা কমার কোনও লক্ষণ নেই। মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (EOW) প্রায় ৬০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
তদন্ত চলাকালীন নতুন প্রমাণ সামনে আসার পর, এই দম্পতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা) যোগ করা হয়েছে। এর ফলে মামলাটি আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে।
EOW জানিয়েছে, তদন্তে পাওয়া তথ্য ও নথির ভিত্তিতেই এই নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।
কী অভিযোগ উঠেছে
মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী দীপক কোঠারির অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা শুরু হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি, তাঁর স্বামী ও ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রা তাঁদের এখন বন্ধ হয়ে যাওয়া সংস্থা ‘বেস্ট ডিল টিভি প্রাইভেট লিমিটেড’-এ বিনিয়োগের নাম করে প্রায় ৬০.৪৮ কোটি টাকা নিয়েছিলেন।
কিন্তু সেই টাকা কোম্পানির কাজে ব্যবহার না করে ব্যক্তিগত খরচে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
২০২৫ সালের আগস্টে এই বিষয়টি সামনে আসে।
কোন কোন ধারায় মামলা
প্রথমে পুলিশ দীপক কোঠারির অভিযোগের ভিত্তিতে FIR দায়ের করে।
তাতে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC)
৪০৩ ধারা (সম্পত্তি আত্মসাৎ)
৪০৬ ধারা (বিশ্বাসভঙ্গ)
লাগু করা হয়।
পরে তদন্তে নতুন তথ্য ও প্রমাণ পাওয়ার পর ৪২০ ধারা (প্রতারণা) যুক্ত করা হয়, যা মামলাটিকে আরও গুরুতর করে তোলে।
EOW কী বলেছে
অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (EOW) আদালতকে জানিয়েছে, তদন্তে
নির্ভরযোগ্য সাক্ষীদের বক্তব্য
ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল প্রমাণ
সংগ্রহ করা হয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নথি ও ডিজিটাল প্রমাণে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে যে অভিযোগকারীর সঙ্গে ৬০ কোটির বেশি টাকার প্রতারণা হয়েছে। সেই কারণেই প্রতারণার অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করা হয়েছে।
মানি লন্ডারিংয়ের তদন্ত হতে পারে
সূত্রের খবর, মামলার গুরুত্ব ও টাকার অঙ্ক বড় হওয়ায় আগামী দিনে প্রবেশন ডিরেক্টরেট (ED)-ও বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
যদি তা হয়, তাহলে এই মামলা মানি লন্ডারিং আইনের আওতায়ও তদন্তের মুখে পড়তে পারে, ফলে আইনি জটিলতা আরও বাড়বে।
শিল্পা শেঠি–রাজ কুন্দ্রার নীরবতা
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শিল্পা শেঠি বা রাজ কুন্দ্রার পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
EOW জানিয়েছে, তদন্ত আইন অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে এবং সব পক্ষকেই নিজেদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হবে।

No comments:
Post a Comment