ব্রণ খুবই সাধারণ, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। কিন্তু কখনও কখনও, একগুঁয়ে ব্রণ যা মাসের পর মাস ধরে চলে না, তা একটি গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এটি কি কেবল ব্রণ নাকি ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ? আসুন সহজ ভাষায় এটি বোঝার চেষ্টা করি।
সাধারণ ব্রণ (পিম্পল) ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে গেলে হয়। এগুলো সাধারণত লাল, ব্যথাযুক্ত বা পুঁজভরা হয় এবং কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে যায়।
কিন্তু স্কিন ক্যান্সার, বিশেষ করে বেসাল সেল কার্সিনোমা (BCC), শুরুতে অনেক সময় ব্রণের মতো দেখাতে পারে। এটি সাধারণত একটি চকচকে, মুক্তোর মতো উঁচু গুটি, যা দীর্ঘদিনেও ভালো হয় না।
স্কিন ক্যান্সারের গুটি (উঁচু দাগ):
সারে না বা বারবার ফিরে আসে
সহজে রক্ত পড়ে বা খোসা জমে
ধীরে ধীরে আকার বড় হতে থাকে
সাধারণত ব্যথা হয় না, কিন্তু চকচকে বা গোলাপি দেখায়
মেলানোমা মতো ভয়ংকর ক্যান্সার কখনও কখনও অসমান আকারের দাগ হিসেবেও দেখা দিতে পারে
জেদি ব্রণকে কেন অবহেলা করা উচিত নয়?
বেশিরভাগ ব্রণ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু কোনো গুটি যদি ৪–৬ সপ্তাহের বেশি থাকে, আকারে বড় হয়, রক্ত বের হয় বা রঙ–আকৃতি বদলাতে থাকে, তাহলে তা স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি স্কিন ক্যান্সারের প্রধান কারণ। মুখে হওয়া বেসাল সেল কার্সিনোমা (BCC) সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এবং শুরুর দিকে ধরা পড়লে পুরোপুরি সেরে যায়। দেরি হলে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং চিকিৎসা কঠিন হয়ে যায়।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
ব্রণ বা গুটি ৪ সপ্তাহেও না কমলে
বারবার রক্ত পড়ে বা খোসা জমলে
আকার, রঙ বা গঠনে পরিবর্তন হলে
পরিবারে স্কিন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ (ডার্মাটোলজিস্ট)-এর কাছে দেখান; প্রয়োজনে বায়োপসি করে নিশ্চিত করা যায়
সহজ কিছু প্রতিরোধের উপায়
প্রতিদিন SPF 30+ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
রোদে বেরোলে টুপি ও ঢেকে রাখা পোশাক পরুন
নিয়মিত নিজের ত্বক পরীক্ষা করুন
ব্রণ চাপ দেবেন না বা ফাটাবেন না, এতে দাগ পড়তে পারে
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই, তবে সতর্ক থাকা জরুরি। ত্বকের কথা শুনুন—জেদি ব্রণকে অবহেলা করবেন না, কারণ আগে ধরা পড়লে বড় বিপদ এড়ানো যায়।

No comments:
Post a Comment