আপেল হল পুষ্টির ভান্ডার
আপেলকে প্রকৃতির একটি মূল্যবান উপহার হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ এতে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত পুষ্টি থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম থাকে। এতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন দিনের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করে।
আপেল খাওয়ার সঠিক সময়
মানুষ প্রায়শই যেকোনো সময় ফল খায়, তবে আয়ুর্বেদ অনুসারে, ফলের ব্যবহার সূর্যের অবস্থান এবং হজম শক্তির উপর নির্ভর করে। আপেল খাওয়ার আদর্শ সময় হল সকাল। খালি পেটে বা নাস্তার সময় আপেল খাওয়া আপেলে উপস্থিত পেকটিন (ফাইবার) হজম ব্যবস্থাকে মসৃণ করতে সাহায্য করে। যেহেতু সকালে শরীরের আরও শক্তির প্রয়োজন হয়, তাই এর কার্বোহাইড্রেট তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে।
যদি আপনি সকালে এটি খেতে না পারেন, তাহলে এটি দুপুরের খাবারের আগে অথবা সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
রাতের খাবার
আয়ুর্বেদ অনুসারে, রাতে ফল খাওয়া নিষিদ্ধ। রাতে আপেল খেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে এবং অ্যাসিডিটি বা গ্যাস হতে পারে। যদি আপনি রাতে আপেল খেতে চান, তাহলে ঘুমানোর কমপক্ষে ২-৩ ঘন্টা আগে খাবেন যাতে হজমের সময় থাকে।
আপেল খাওয়ার উপকারিতা
সঠিকভাবে আপেল খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী উপকারিতা প্রদান করে। আপেলের ফাইবার মলত্যাগ সহজ করে, দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আপেলের দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, হৃদরোগের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
যদি আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তাহলে আপেল একটি দুর্দান্ত পছন্দ। এগুলি খেলে আপনি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভব করেন, অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ এড়াতে সাহায্য করেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে, এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মৌসুমি অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে।
এই বিষয়গুলি মনে রাখবেন:
আপেল খাওয়ার সময়, সর্বদা খোসা সহ খেতে ভুলবেন না, কারণ বেশিরভাগ ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খোসাতেই পাওয়া যায়। তবে, কোনও কীটনাশক অপসারণের জন্য খাওয়ার আগে এগুলি ভালভাবে ধুয়ে নেওয়া অপরিহার্য।
অস্বীকৃতি:
এই নিবন্ধটি কেবল সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এই নিবন্ধে থাকা তথ্য এবং তথ্যের নির্ভুলতা বা সম্পূর্ণতার জন্য Press card News দায়ী নয়। যেকোনো স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের জন্য একজন প্রত্যয়িত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

No comments:
Post a Comment