পেয়ারা কেবল একটি সাধারণ ফল নয়, বরং স্বাস্থ্যের ভান্ডার। এই শীতকালীন ফলটি আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক বিজ্ঞান উভয়ের কাছেই অত্যন্ত উপকারী বলে বিবেচিত হয়। আয়ুর্বেদ এটিকে কেবল এর স্বাদের জন্য নয়, বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের প্রতীক হিসেবে দেখে।
পেয়ারার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর পুষ্টিগুণ। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাছাড়া, এতে ফাইবার, পটাসিয়াম এবং বেশ কিছু প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যে কারণে আজকাল এটিকে একটি সুপারফ্রুট বলা হচ্ছে।
কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে পেয়ারায় পাওয়া লাইকোপিন, পলিফেনল এবং কোয়ারসেটিন শরীরকে প্রদাহ, সংক্রমণ এবং কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এই যৌগগুলি শরীরের কোষকে রক্ষা করে।
হজমের জন্য উপকারী
কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের সমস্যায় ভুগছেন এমনদের জন্য পেয়ারা খুবই উপকারী। এর ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট হালকা রাখে। তাছাড়া, আয়ুর্বেদ পেয়ারাকে এমন একটি ফল বলে মনে করে যা শরীরের অগ্নি (আগুন) ভারসাম্য বজায় রাখে। এর অর্থ এটি পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং শরীরে শক্তির সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখে।
পেয়ারার প্রতিটি অংশই ঔষধি
আয়ুর্বেদে, পেয়ারা কেবল একটি ফল নয়। ফলের প্রতিটি অংশই ঔষধি হিসেবে বিবেচিত। এর পাতার ক্বাথ দাঁত ব্যথা, মুখের আলসার, ডায়রিয়া এবং মহিলাদের কিছু সমস্যার জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এর ছাল এবং মূল পেটের দুর্বলতা এবং বমির মতো অবস্থার জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে
পেয়ারা ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী কারণ এতে চিনির পরিমাণ কম এবং ফাইবার বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পটাসিয়াম হৃদরোগের স্বাস্থ্যকেও উন্নত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

No comments:
Post a Comment