এটা তো করলার রস! বেশিরভাগ মানুষই যে তেতো সবজি থেকে দূরে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই তেতো স্বাদে লুকিয়ে আছে স্বাস্থ্যের এত মিষ্টি ভাণ্ডার? বিশেষ করে যখন এর রসের কথা আসে, এটি একটি অলৌকিক প্রতিকারের চেয়ে কম নয়।
আপনার হয়তো এর স্বাদ পছন্দ নাও হতে পারে, কিন্তু যদি আপনি এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে থাকেন, তাহলে আপনি সম্ভবত এটিকে অভ্যাসে পরিণত করবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন সকালে করলার রস পান করলে আপনার শরীরের কী কী আশ্চর্যজনক উপকারিতা পাওয়া যায়।
১. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি ঔষধ
করলের রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি বর। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরে ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটি পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হঠাৎ করে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
২. হৃদয়কে সুস্থ ও তরুণ রাখে
এই তেতো রস আপনার হৃদয়ের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। এটি শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এটি রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
৩. পেটের সকল সমস্যা দূর করে
যদি আপনি ঘন ঘন গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজমে ভোগেন, তাহলে করলার রস আপনার পুরো পাকস্থলীর সিস্টেম উন্নত করতে পারে। এটি অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং হজমকে ত্বরান্বিত করে, যার ফলে খাবার হজম করা সহজ হয়।
৪. অতিরিক্ত চর্বি কমায় এবং রক্ত পরিষ্কার করে
করলের রস আপনার বিপাককে ত্বরান্বিত করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তদুপরি, এটি একটি চমৎকার রক্ত পরিশোধক। এটি রক্ত থেকে অমেধ্য এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা উন্নত করে।
৫. দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এই রস চোখের জন্যও খুবই উপকারী। নিয়মিত এটি পান করলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয় এবং অনেক সমস্যা প্রতিরোধ করে।
কীভাবে এবং কখন এটি পান করবেন?
সঠিক সময়: করলার রস পান করার সবচেয়ে ভালো সময় হল সকালে খালি পেটে।
যদি এর স্বাদ তেতো হয়? যদি আপনি স্বাদ সহ্য করতে না পারেন, তাহলে চিন্তা করবেন না। আপনি সামান্য লেবুর রস, এক চিমটি কালো লবণ, অথবা সামান্য আদার রস যোগ করতে পারেন। এটি এর তিক্ততা কমাবে এবং এর উপকারিতা বৃদ্ধি করবে।
কিন্তু এই বিষয়গুলো মনে রাখবেন:
অতিরিক্ত যেকোনো জিনিসই খারাপ। অতিরিক্ত করলা রস পান করলে পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়া হতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের বা গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন এমন মহিলাদের খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
.jpeg)
No comments:
Post a Comment