রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার দুই দিনের সফরে ভারতে আসছেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। তার সফরকালে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার, পুতিনের সফরের দুই দিন আগে, রাশিয়ার সংসদ দুই দেশের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুমোদন করেছে, যার মাধ্যমে তারা একে অপরের প্রতিরক্ষা সুবিধা ব্যবহার করতে পারবে।
রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ৪ ডিসেম্বর ভারতে আসবেন এবং ৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। এর আগে, পুতিন নয়াদিল্লিতে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। পুতিন দিল্লির একটি গোপন স্থানে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। এর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
তার দুই দিনের সফরে, ৪ এবং ৫ ডিসেম্বর তিনি বহু-স্তরীয় নিরাপত্তার আওতায় থাকবেন। তার সফরকে সামনে রেখে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় SWAT টিম, সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড এবং দ্রুত পদক্ষেপকারী দল মোতায়েন করা হবে। রাশিয়ার অগ্রিম নিরাপত্তা এবং প্রোটোকল দলের ৫০ জনেরও বেশি সদস্য দিল্লিতে পৌঁছেছেন। জানা যাচ্ছে যে পুতিনের এই সফরের মূল লক্ষ্য থাকবে প্রতিরক্ষা চুক্তি। রাশিয়া ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে তারা ভারতকে রাশিয়ার সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমান SU-57 যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে প্রস্তুত।
এর আগে, মঙ্গলবার, রাশিয়ান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ, স্টেট ডুমা, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে "RELOS" নামে একটি সামরিক চুক্তি অনুমোদন করেছে। এই চুক্তির আওতায়, উভয় দেশের সেনাবাহিনী একে অপরের সামরিক ঘাঁটি, সুযোগ-সুবিধা এবং সম্পদ ব্যবহার করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে তাদের বিমান এবং যুদ্ধজাহাজ পুনরায় জ্বালানি সরবরাহ, সামরিক ঘাঁটিতে ক্যাম্পিং এবং অন্যান্য লজিস্টিক সুবিধা। উভয় দেশই এই চুক্তির খরচ ভাগ করে নেবে। এই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। গত সপ্তাহে, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন এটি অনুমোদনের জন্য সংসদে পাঠিয়েছিলেন।

No comments:
Post a Comment