জলপাইগুড়ি, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫: একদিকে কুয়াশা, অপর দিকে কণকণে হাওয়া, ঠাণ্ডায় রীতিমতো জুবুথুবু উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা। কয়েকদিন ধরেই জাঁকিয়ে শীত, কণকণে ঠাণ্ডায় কাবু উত্তরবঙ্গবাসী। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি জলপাইগুড়িতেও একই অবস্থা; ঠাণ্ডা হাওয়া এবং কুয়াশার কারণে দিনেই যেন অন্ধকার নেমে এসেছে। যেকোনও দুর্ঘটনায় রাতে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জাতীয় সড়কে চালকদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে গরম চা জল খাইয়ে সচেতন করা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার দুঃস্থ-গরীব রাস্তার ধারে জীবনযাপন করে রাত কাটাচ্ছেন, এমন বহু মানুষদের কম্বল বিতরণে এগিয়ে এসেছে।
মঙ্গলবার ভোর থেকেও প্রচণ্ড কুয়াশার দাপট। জলপাইগুড়িতে দৃশ্যমানতা একেবারেই কম। এদিন সকাল ৮ টা নাগাদও কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল জলপাইগুড়ির বেশিরভাগ এলাকা। এমনকি বেলা বাড়লেও রাস্তায় লোকজন খুব একটা দেখা যায়নি। যদিও এই শীতকে দারুণভাবে উপভোগ করছেন জলপাইগুড়িবাসী। সকাল থেকেই এদিন ভিড় বাড়তে দেখা যায় চায়ের দোকানগুলোতে। জলপাইগুড়ি শহরের পাশাপাশি সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি সহ ডুয়ার্সের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো। জেলার প্রায় সর্বত্রই তাপমাত্রা এখন নিম্নমুখী রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে বলে ১১-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫° ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও নামবে। অতিরিক্ত কুয়াশার জন্য মোটরবাইক ও গাড়ি চালকদের জাতীয় সড়কে ফগলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে দেখা যাচ্ছে। উত্তরের সব জেলাতেই যেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শীত। আগামী সাতদিন উত্তরবঙ্গ জুড়ে শীতের দাপট বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গে ও আগামী তিনদিন অব্যাহত থাকবে ঠাণ্ডা। এরপর কিছুটা বাড়তে পারে তাপমাত্রা।

No comments:
Post a Comment