ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫: আমেরিকার ডায়রেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্স (ডিএনআই) তুলসি গ্যাবার্ড ইসলামবাদকে আমেরিকার স্বাধীনতা এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন যে, এটি কোনও ধর্মীয় বিশ্বাস নয় বরং একটি রাজনৈতিক মতাদর্শ যার উদ্দেশ্য শরিয়া আইনের অধীনে বিশ্বব্যাপী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। এটি ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং পশ্চিমা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিরোধী।
অ্যারিজোনায় টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর আমেরিকা ফেস্টে ভাষণ দিতে গিয়ে গ্যাবার্ড বলেন যে, এই হুমকি এখন আর কেবল বিদেশী দেশগুলিতেই সীমাবদ্ধ নেই বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেও শেকড় গেড়েছে। তিনি বলেন, "এই ইসলামী আদর্শ আমাদের স্বাধীনতার জন্য সরাসরি হুমকি। এটি একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা, যার উদ্দেশ্য বৈশ্বিক খেলাফত এবং শরিয়া আধারিত শাসন প্রতিষ্ঠা করা।"
তুলসি গ্যাবার্ড সতর্ক করে বলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি সময়মতো এই বিচারধারা চিনে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে, তাহলে দেশ ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। তুলসি বলেন, "আমরা যদি পদক্ষেপ না করি এবং এটিকে এর আসল রূপে চিনে চ্যালেঞ্জ না করি, তাহলে আমেরিকাও সেই দেশগুলির পথে চলে যাবে, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় সীমা রেখা টানা রয়েছে।"
উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন যে, জার্মানিতে ক্রিসমাস বাজার বাতিল করা হচ্ছে, অন্যদিকে ব্রিটেনে রাস্তার ধারে নীরবে প্রার্থনা করার জন্য মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তুলসি গ্যাবার্ড দাবী করেছেন যে, আমেরিকার অনেক শহরে উগ্র ইসলামিক ধর্মগুরুরা প্রকাশ্যে যুবদের উস্কে দিচ্ছে এবং উগ্রবাদে লিপ্ত করছে। তিনি বলেন, "ডিয়ারবর্ন (মিশিগান) এবং মিনিয়াপোলিস (মিনেসোটা) এর মতো অঞ্চলে, ইসলামিক ধর্মগুরুরা প্রকাশ্যে এই মতাদর্শ প্রচার করছে এবং যুবদের নিয়োগ করছে।" তিনি প্যাটারসন (নিউ জার্সি) এবং হিউস্টন (টেক্সাস) এর কথাও উল্লেখ করেছেন।
তুলসি গ্যাবার্ড বলেন যে, এই মতাদর্শের সাথে যুক্তরা কেবল সেন্সরশিপই নয়, ভিন্নমত পোষণকারী কণ্ঠস্বর দমন করার জন্য সহিংসতা এবং ভয় দেখানোরও আশ্রয় নেয়। তুলসি বলেন, "আপনি যদি আপনার ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করেন, তাহলে তারা আপনাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য যেকোনও সীমা পর্যন্ত যাবে।" তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্যও মানুষ হুমকি পাচ্ছে।
তিনি সরকার এবং সমাজের কাছে উগ্র মতাদর্শের বিরুদ্ধে কঠোর এবং স্পষ্ট পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন।

No comments:
Post a Comment