ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর পুনেতে সিম্বিওসিস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ২২তম সমাবর্তনে যোগ দেন শনিবার। অনুষ্ঠানে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যঝ রাখেন। তিনি তাঁদের সাথে পরিবর্তিত বিশ্বের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বলেন, ক্ষমতার শ্রেণিবিন্যাস সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়েছে। আজ, বিশ্বব্যাপী কেবল একটি নয় বরং অনেকগুলি ক্ষমতা ও প্রভাব কেন্দ্রের আবির্ভাব ঘটেছে। ফলস্বরূপ, কোনও দেশ, যতই শক্তিশালী হোক না কেন, প্রতিটি বিষয়ে নিজ ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে পারে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "আমরা মহাভারতকে শক্তি, সংঘর্ষ আর পরিবারের সঙ্গে জড়িত কাহিনী। আমরা স্বাভাবিকভাবেই রামায়ণের সমস্ত জটিলতা, কৌশল, রণনীতীএবং গেম প্ল্যান নিয়ে ভাবি না। তাই, যখন কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করে, 'আপনার মতে কে সর্বশ্রেষ্ঠ কূটনীতিক?', আমি বলি ভগবান কৃষ্ণ এবং হনুমান। কারণ একজন মহাভারতের মহান কূটনীতিক, অন্যজন রামায়ণের মহান কূটনীতিক।"
তিনি বলেন, "হনুমানকে আসলে তথ্য সংগ্রহের জন্য শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়েছিল। তিনি তথ্য সংগ্রহে সফল হয়েছিলেন। তিনি মাতা সীতার সাথে দেখা করতে সেখান পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিলেন। তিনি তাঁর মনোবল বৃদ্ধিতে সফল হন। এখন, যদি এমন ব্যক্তিকে আপনি বিশ্বের সামনে উপস্থাপন না করেন, তাহলে আমি মনে করি আমরা আমাদের সংস্কৃতির প্রতি অনেক বড় অন্যায় করছি।"
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, "ইউরোপ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমাদের এর সাথে আরও প্রচেষ্টা করা দরকার। যখন আমরা আমাদের প্রতিবেশীর কথা বলি, তখন আমাদের প্রতিবেশী দেশ আমাদের চেয়ে আকারে ছোট। প্রত্যেকেই কোনও না কোনওভাবে আমাদের সাথে সংযুক্ত। সেখানেও রাজনীতি হয়। পরিস্থিতি কখনও উপরে যায় বা নিচে আসে। কখনও তারা আমাদের প্রশংসা করে, তো কখনও আলোচনা করে। কেননা সত্য হল এটাই যে, ঘরোয়া রাজনীতিতে আমরা নিজেরাই একটি প্রধান সমস্যা হয়ে উঠি।"
তিনি বলেন, "গত সপ্তাহে, একটি বড় ঘূর্ণিঝড় শ্রীলঙ্কায় আঘাত হেনেছিল। আমরা সেই দিনই সাহায্য নিয়ে পৌঁছেছিলাম। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা করুন করোনাকালে তারা কোথায় টিকা পেয়েছিল। ভারত থেকে টিকা পেয়েছিল। ইউক্রেন যুদ্ধেও ভারত প্রয়োজনের সময় সহায়তা পৌঁছে দিয়েছিল।"

No comments:
Post a Comment