প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২০ ডিসেম্বর : বর্তমানে দর্শক যাকে ‘ভানু’ নামে চেনেন, সেই চরিত্রটি রাতারাতি জনপ্রিয় করে তুলেছে ‘জোয়ার ভাঁটা’র রৌনককে। ধারাবাহিকে নিশার প্রতি ভানুর একতরফা প্রেমের আবেগ ইতিমধ্যেই দর্শকের মন জিতে নিয়েছে। তবে রৌনকের এই সফলতার পিছনে রয়েছে দীর্ঘ অপেক্ষা, কথিন সংগ্রাম, নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলার জেদ।
সন্দিপুর গ্রামের সাধারণ পরিবারে জন্ম। বাবা একটি বাসের মালিক, দাদা সেই বাসের কন্ডাকটর। দুই বিবাহিত দিদির নিজস্ব দোকান রয়েছে। গ্রামের চেনা ছকে বাঁধা জীবন ছোটপর্দার রৌনক খানের।
২০১৩ সাল থেকে পেশার তাগিদে কলকাতায় থাকতে শুরু করেন তিনি। টাকা বাঁচাতে নিজের রান্না, ঘর পরিষ্কার, কাপড় কাচা, সবই নিজে করেছেন। সঙ্গে শরীরচর্চা, সুযোগ পেলেই মঞ্চাভিনয়, আর ন’মাসে-ছ’মাসে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়া, এই ছিল তার রুটিন।
নিজের কঠিন সংগ্রাম নিয়ে আনন্দবাজার ডট কম কে রৌনক বললেন, “প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে। লেখাপড়ার থেকেও ক্রিকেটে মন ছিল বেশি। আর জেদ ছিল, অভিনয়ে আসব। ইংরেজিতে স্নাতক হওয়ার পরেও স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি।
পেশাজীবন শুরু মডেলিং দিয়ে। কাজের তাগিদে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন মুম্বই। লম্বা-চওড়া পেটানো স্বাস্থ্য, সুপুরুষ রৌনককে মডেলিংয়ের দুনিয়া গ্রহণ করেছিল। “তখনই ঠিক করেছিলাম, মডেলিংয়ের জন্য মুম্বইয়ে থাকতে সমস্যা নেই। কিন্তু অভিনয় বাংলাতেই।” যদিও তিনি বাংলা-ইংরেজি-হিন্দি তিনটি ভাষাই ঝরঝরে বলতে, লিখতে, পড়তে পারেন।
কয়েকটি বিজ্ঞাপনে কাজ করে ডাক পেয়েছিলেন টলিউডে। নায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সেই আশা পূরণ না হলেও রৌনক অকপটে স্বীকার করেন, ‘প্রতিভার পাশাপাশি যোগাযোগও দরকার। আমি কাউকে চিনতাম না। ফলে পিআর করতে পারিনি। পরিশ্রমের সঙ্গে ভাগ্যও লাগে।’
বারবার স্বপ্ন ভেঙে গেলেও হতাশ হননি। অভিনেতা তাই যোগ দেন হাতিবাগানের একটি নাট্যদলে। সেখানে টানা মঞ্চাভিনয় করে গিয়েছেন। পেট চালানোর জন্য মডেলিংও করেছেন। কখনও কালার্স বাংলায় ‘জয় জগন্নাথ’ ধারাবাহিকে ‘মহাদেব’। কখনও স্টার জলসায় ‘রোশনাই’য়ের পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় তাকে অনেকটাই অভিজ্ঞ করে তুলেছে। অবশেষে জ়ি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দ্বিতীয় নায়ক হিসেবে জায়গা পান তিনি।
রৌনক প্রসঙ্গে সহ-অভিনেত্রী শ্রুতি দাস বলেন, “ওর লড়াই কাছে থেকে দেখেছি। মফস্সলের মেয়ে। কখনও হার মানেনি। এখনও প্রতি মুহূর্তে লড়ছে। তেমনি অভিনয়। ওর থেকে অনেক কিছু শিখছি। খুব আগলে রাখে আমায়।”
.jpeg)
No comments:
Post a Comment