মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি বা অন্য অনেক কারণে বিমান দুর্ঘটনার কাহিনী তো সবারই কম বেশি জানা। কিন্তু মাঝ আকাশে হঠাৎ যদি কোনও বিমান অদৃশ্য হয়ে যায়, হাজার সন্ধানের পরও সেটির হদিশ পাওয়া যায় না। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আচমকা সেই বিমানটি ফিরে আসে, তাহলে! ভাবছেন এও আবার সম্ভব না কি! এমনই একটি ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে, যদিও এর রহস্য ভেদ করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। ঘটনাটি ব্রাজিলের।
সান্তিয়াগো ফ্লাইট-513, 4 সেপ্টেম্বর 1954 সালে 92 জন যাত্রী নিয়ে জার্মানি থেকে ব্রাজিলের উদ্দেশ্যে উড়ে যায়। এই যাত্রা ছিল 18 ঘন্টার। কিন্তু মাসের প মাস কেটে গেলেও এই ফ্লাইটটি না ব্রাজিলে পৌঁছেছে, না অন্য কোথাও অবতরণ করেছে। সেই সময় প্রশাসনসহ সবাই ধরে নিয়েছিল নীল আকাশ সেই উড়ানকে গ্রাস করেছে। পরবর্তীতে এই সংক্রান্ত ফাইলটি ক্লোজ করে দেওয়া হয়।
এই পর্যন্ত তাও ঠিক ছিল, কিন্তু এরপর যা ঘটল তা জানলে আপনার হুঁশ উড়ে যাবে। 35 বছর পর 1989 সালে, এই ফ্লাইটটিই ব্রাজিলের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সেখানকার কর্তৃপক্ষ পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তারা কোনও উত্তর পায়নি।
এরপর কর্তৃপক্ষের আধিকারিক ঐ ফ্লাইটে ওঠেন। এরপর সেখানকার যে দৃশ্য দেখেন, তাতে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে যান। ফ্লাইটের যাত্রীদের কঙ্কাল চেয়ারের সঙ্গে সিট বেল্টে বাঁধা ছিল। এই দেখে ওই আধিকারিক দৌড়ে ককপিটের দিকে যান। সেখানেও পাইলটের কঙ্কাল সিট বেল্ট দিয়ে বাঁধা ছিল। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, পাইলটের কঙ্কাল যখন বাঁধা ছিল, তখন বিমানটি কে উড়াচ্ছিল?
পুরো বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক তদন্ত করেও এই রহস্যের সমাধান করতে পারেননি। তারা এর কোনও উত্তর পায়নি।
উল্লেখ্য, আসলে এই পৃথিবীর বুকে এমন অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, যার উত্তর হয়তো বিজ্ঞানের কাছেও নেই।
No comments:
Post a Comment