দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি। জনবহুল এলাকায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য। এই অভিযোগ দুর্গাপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রুমা পারিয়ালের বিরুদ্ধে। তিনি নিজের স্বার্থসিদ্ধি হয় নি বলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তাদের অনুসারীরা অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। মিডিয়া রিপোর্টের পরে, সোমবার দুর্গাপুরে আইওসি-র এলপিজি বটনিং প্ল্যান্টে নতুন ট্রাক আসতে শুরু করেছে। এর আগে দুর্গাপুরের এলপিজি বটনিং প্ল্যান্টে পরিবহন সংস্থাগুলিকে নোটিশ জারি করেছিল IOC। এটি বলেছে যে নতুন ট্রাকগুলি ২৫ এপ্রিলের মধ্যে বটলিং প্ল্যান্টে সরবরাহ করতে হবে। সোমবার থেকে পুরনো ট্রাক গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করতে পারবে না।
নতুন ট্রাক প্ল্যান্টে ঢুকতে দেওয়ায় তৃণমূল কাউন্সিলর রুমা পারিয়াল ‘দিদিগিরি’ দেখাতে শুরু করেন। তিনি ব্যবসায়ীদের বলেন, টাকা না নিলে নতুন ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হবে না। পুরো ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। ঝামেলার শুরু এখান থেকেই। ব্যবসায়ীর বাড়িতে তোলপাড় সৃষ্টি করলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কেন তিনি সংবাদমাধ্যমকে বললেন।
এরপর সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধিরা রুমা পারিয়ালকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। তৃণমূল কর্পোরেশনের অভিযোগ, সাংবাদিকরা ব্ল্যাকমেইলের টাকা দিয়ে পকেট ভরে। তৃণমূল কাউন্সিলরের এই মন্তব্যের পর সাংবাদিকরা প্রতিবাদ শুরু করেন। দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সব সাংবাদিক সেখানে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। কিন্তু তৃণমূল কাউন্সিলর তার মন্তব্য থেকে পিছপা হননি।
দুর্গাপুরের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন সাংবাদিকরা। রুমা পারিয়ালকে ডেকে আনলেন মেয়র। কিন্তু সেখানেও তিনি অনড় থাকেন। এমনকি মেয়রের বাসায় বসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিভিন্ন অপমানজনক মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, "যদি আমি খুব বেশি এগিয়ে যাই, আমি এখন মানহানির মামলা করতে পারি।" সবশেষে, কাউন্সিলর তার অনুগামীদের সাথে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সমস্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপমানজনক পোস্ট ছড়িয়ে দেন। এরপর দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকরা জেলা মাঠ নেতৃত্ব ও দুর্গাপুর প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment