শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে মানুষ অসুস্থ হতে শুরু করে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তখনই শক্তিশালী হবে যখন আপনি আপনার খাবার ও পানীয়ের প্রতি বিশেষ যত্ন নেবেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ভালো খাবার ও পানীয়ের পাশাপাশি শুকনো ফল খাওয়া হলে তা আমাদের সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখবে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিশমিশের উপকারিতা। প্রতিদিন কিশমিশ খেলে অনেক রোগ এড়ানো যায়।
কিশমিশে পাওয়া পুষ্টি উপাদান:
কিশমিশে পাওয়া পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলতে গেলে, এতে প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, ভিটামিন-বি6 এবং ম্যাঙ্গানিজের পাশাপাশি অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কিশমিশে পাওয়া এই সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলি সুস্থ শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
কিসমিস খাওয়ার সঠিক উপায় কি?
বেশির ভাগ মানুষই স্বাভাবিক নিয়মে কিসমিস খান, কিন্তু কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়া হলে তাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়। এইভাবে খেলে আপনি রোগ থেকেও রক্ষা পাবেন এবং এটি আপনাকে সারাদিন উদ্যমী রাখবে।
দিনে কত কিসমিস খাওয়া উচিত:
প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টি কিসমিস রাতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে খান।
কিসমিস খাওয়ার আশ্চর্যজনক উপকারিতা
১.কিশমিশের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি এবং সি থাকে, এ ছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২.কিশমিশে ক্যালসিয়াম থাকে, যা দাঁত ও হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় এবং উপকারী।
৩.কিশমিশে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা আপনার শরীরে খুব দ্রুত শক্তি তৈরি করে।
৪.কিশমিশ খেলে পরিপাকতন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
৫.কিশমিশ আমাদের ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
৬.কিশমিশ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত পরিশোধনেও কাজ করে।
No comments:
Post a Comment