এক শিশুকে ২০টি কুকুরের সঙ্গে দু'বছর ধরে একটি ঘরে তালা বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠল বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। একটি এনজিওর সহায়তায় পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করেছে এবং তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই শিহরণ জাগানো ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুনেতে।
পুলিশ জানিয়েছে যে, অভিযুক্ত বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে শিশু বিচার (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) আইন-২০০০-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, একটি এনজিওর সহায়তায় ছেলেটিকে বাড়ি থেকে বের করে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
একটি এনজিও চাইল্ডলাইনের একজন স্বেচ্ছাসেবক পুলিশকে জানিয়েছেন, পুনের কোন্ধওয়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের ভিতরে ১১ বছর বয়সী একটি ছেলেকে ২০ থেকে ২২টি কুকুরের সাথে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। অভিযোগকারী জানান, গত ৫ মে ঐ ফ্ল্যাটে গিয়ে কুকুরের সঙ্গে জানালার পাশে একটি শিশুকে বসে থাকতে দেখেন। ঘরের ভেতর থেকে একটা দুর্গন্ধ আসছিল।
অভিযোগকারী শিশুটির অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, শিশুটি স্কুলেও যায় না। এরপর অভিযোগকারী অভিভাবকদের শিশুটিকে কুকুরের সঙ্গে না রাখার পরামর্শ দিয়ে বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন জানান। কিন্তু শিশুটির পরিবারের সদস্যরা তাঁর কথায় কর্ণপাত করেননি। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
ওই পুলিশ আধিকারিক জানান, ৯ মে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিশুটির বাবা-মা বাইরে বেরিয়েছিলেন। বাড়ির ভেতর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। “শিশু কল্যাণ কমিটির সহায়তায় ওই দিনই ছেলেটিকে উদ্ধার করা হয় এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়,” আধিকারিক বলেন। আধিকারিক বলেন, ছেলেটির আচরণও কুকুরের মতো হয়ে গিয়েছে। তাকে শিশু আশ্রয়কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।
No comments:
Post a Comment