অনেককে বারবার ভাইরাল ফ্লুর লক্ষণের মুখোমুখি হতে হয়। যাইহোক, শীতকালে বেশিরভাগ লোককে এমন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের মাঝে মাঝে গ্রীষ্মকালেও ফ্লু মোকাবেলা করতে হয়। ফ্লু একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করে। এই সংক্রমণটি সংক্রামক এবং একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গ্রীষ্মে ফ্লু হওয়া সাধারণ নয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মে ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা শীতকালে যতটা হয় ততটা থাকে না। গ্রীষ্মকালীন ফ্লুর লক্ষণগুলি হতে পারে:
গ্রীষ্মকালীন ফ্লুর লক্ষণ
1. সাধারণ সর্দি
গ্রীষ্মকালে ফ্লু হলে মানুষ সাধারণ সর্দিতে আক্রান্ত হতে পারে। এই সময়ে একজন ব্যক্তির নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ, দুর্বলতা, শরীর ব্যথা, জ্বর, বুকে ব্যথা এবং কাশি হতে পারে গ্রীষ্মকালীন ফ্লুর লক্ষণ।
2. গলার সংক্রমণ
গলার সংক্রমণও গ্রীষ্মকালীন ফ্লুর লক্ষণ হতে পারে। এই অবস্থায় গলা ব্যথা, ফুলে যাওয়া, জ্বর, ক্লান্তি এবং ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ দেখা যায়। এছাড়া লাল দাগ, সাদা দাগসহ টনসিল ফোলা সমস্যা হতে পারে। এই সময় ব্যক্তির জল গিলতে অসুবিধা হতে পারে।
3. নাক দিয়ে জল পড়া
নাক দিয়ে জল পড়াও গ্রীষ্মকালীন ফ্লুর একটি সাধারণ উপসর্গ হতে পারে। এ অবস্থায় নাক দিয়ে জল বের হতে পারে। শীতকালে নাক দিয়ে জল পড়া সাধারণ, তবে গ্রীষ্মকালে এটি ভাইরাল ফ্লুর লক্ষণ হতে পারে।
4. বমি বমি ভাব
আপনার যদি গ্রীষ্মে ঘন ঘন বমি বা বমি বমি ভাব হয় তবে এই অবস্থাটি ফ্লু হতে পারে। আপনার ভাইরাল সংক্রমণ বা ফ্লু থাকলে বমি হতে পারে। অথবা বমি বমি ভাবের সমস্যা হতে পারে।
5. ডায়রিয়া
ভাইরাল ইনফেকশন হলে ডায়রিয়ারও সমস্যা হতে পারে। তাই এই সমস্যাটিকে একেবারেই অবহেলা করবেন না। এই সমস্যা শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। তাই এই সময়ে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। শরীরকে হাইড্রেট করতে প্রচুর পানি পান করুন। এছাড়াও নারকেল জল, জুস ইত্যাদি খাওয়া বাড়ান।
6. শরীর ব্যাথা
শরীরে ব্যথাও ভাইরাল সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। আপনার যদি ঘন ঘন শরীর বা পেশীতে ব্যথা হয় তবে এই অবস্থাটিকে উপেক্ষা করবেন না। যদিও শরীরে ব্যথা অন্য অনেক কারণে হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ভাইরাল সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এ ছাড়া বুকে ব্যথা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, জ্বর। ঘন ঘন হাঁচি এবং শরীরে ব্যথাও ফ্লুর লক্ষণ হতে পারে। যদিও ফ্লু কয়েকদিনের মধ্যে সেরে যায়, কিন্তু যদি ফ্লুর উপসর্গ ২ থেকে ৩ দিনের বেশি দেখা যায়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফ্লু প্রতিরোধ করতে, আপনার খাদ্যের বিশেষ যত্ন নিন। কারণ দীর্ঘদিন ফ্লু থাকলে সমস্যা বাড়তে পারে।
No comments:
Post a Comment