বাংলাদেশের চট্টগ্রামে শনিবার রাতে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সীতাকুণ্ড উপজেলায় একটি বেসরকারি অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোতে (আইসিডি) অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৩ জন নিহত ও ৪৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং উদ্ধার অভিযানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা জোগাড় করার নির্দেশ দিয়েছেন। আধিকারিকরা তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ চৌকির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত এ ঘটনায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহগুলো মর্গে রাখা হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী ফোনে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, "ডিপোটি অনেকটাই খালি ছিল, আগুন লাগার পর দমকলকর্মী, পুলিশ সদস্য এবং অন্যান্য উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার বিস্ফোরণে তারা মারা যায়।"
রেড ক্রিসেন্ট ইয়ুথ চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের প্রধান ইস্তাকুল ইসলাম বলেন, "এই ঘটনায় ৪৫০ জনের বেশি আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ৩৫০ জন সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্য হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।"
উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম জানান, রাত ৯টার দিকে কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস ইউনিট তা নিভানোর কাজ করতেই বিস্ফোরণ হয় এবং তারপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসআই নুরুল জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় আগুন লেগেছে।
অপরদিকে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ৯টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। রাত ১১ টা ৪৫ এর দিকে একটি কন্টেইনারে রাসায়নিক থাকার কারণে একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে ছড়িয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন সিকদার জানান, প্রায় ১৯টি ফায়ার টেন্ডার আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সও রয়েছে বলে জানান তিনি। ফায়ার সার্ভিসের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন বলেন, "ডিপোর কনটেইনারে হাইড্রোজেন পারক্সাইডের মতো অনেক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রাখা হয়েছিল, যার কারণে আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। "
No comments:
Post a Comment