মুর্শিদাবাদে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে চোরাকারবারিদের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের সংঘর্ষে একজন ভারতীয় চোরাকারবারী নিহত হয়েছেন। বিএসএফ আধিকারিকরা বলছেন যে এক বিএসএফ জওয়ানকে জোরপূর্বক ফেনসিডিল পাচার করার জন্য একদল চোরাকারবারী আক্রমণ করেছিল, যার পরে এনকাউন্টার চলাকালীন প্রতিশোধে একজন ভারতীয় চোরাকারবারী নিহত হয়। নিহত পাচারকারীর নাম রোহিল মন্ডল বলে জানা গেছে। পাচারকারীদের কাছ থেকে ৫৩২টি ফেনসিডিল বোতলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বিএসএফের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার সকালে ১৪১ তম কোরের বর্ডার পোস্ট সাগরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিএসএফের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগের জোরালো ও সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে সৈন্যরা ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় অ্যাম্বুশ ও টহল বাড়িয়েছে। ভোর ৩টার দিকে কর্তব্যরত জওয়ান তার এলাকায় ১০-১৫ জন চোরাকারবারীর কার্যকলাপ সন্দেহ করলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সহকর্মী জওয়ান এবং টহল দলকে খবর দেন। কিছুক্ষণ পর চোরাকারবারীরা জওয়ানের ওপর হামলা ও পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। এতে সৈন্যরাও পাল্টা পদক্ষেপ শুরু করে। জওয়ান প্রথমে অ-ঘাতক অস্ত্র দিয়ে চোরাকারবারিদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু চোরাকারবারিদের ওপর তাতে কোনও প্রভাব পড়েনি। এর পরে তাকে তার জীবনের জন্য অস্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছিল। যেখানে এক ভারতীয় চোরাকারবারী ধরা পড়ে।
বিএসএফ অফিসার বলেছেন যে জওয়ান প্রথমে আত্মরক্ষায় একটি অ-মারাত্মক অস্ত্র (অ-মারাত্মক) গুলি চালিয়ে চোরাকারবারিদের থামানোর এবং তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কোনও ফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত জান-মাল রক্ষার জন্য তাকে ব্যক্তিগত অস্ত্র দিয়ে গুলি করতে বাধ্য করা হয়, যার গুলিতে চোরাকারবারী নিহত হয়।
অন্যদিকে নিহতের স্বজনদের দাবী, রোহিত মণ্ডল সকালে সীমান্ত এলাকায় পাটের জমিতে কাজ করতে গিয়েছিল। তিনি অন্য কোনও চোরাচালান বা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবে চোরাচালান সন্দেহে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে। ঘটনার তদন্ত করে বিএসএফের কাছে উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছেন পরিবারের সদস্যরা। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র দুই মাস আগে বিয়ে করেন রোহিত। ফলে পুরো পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
No comments:
Post a Comment