ফুলশয্যার রাতেই হঠাৎ নিখোঁজ নববধূ। খোঁজাখুঁজি করতেই চক্ষু চড়ক গাছ বর সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের। টাকা-পয়সা, গয়না-গাটি নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠল নতুন বৌয়ের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের।
জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রথম রাতেই হঠাৎ লোডশেডিং হলে ঘরের আলো নিভে যায়। এমতাবস্থায় বর একটু হাওয়া খেতে ছাদে চলে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন সেখান থেকে নববধূ নিখোঁজ। তিনি খুঁজতে শুরু করলে দেখতে পান যে, তার সমস্ত জিনিসপত্রও নেই। এছাড়া ঘরে রাখা গহনা ও নগদ টাকাও নেই।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, শাহজাহানপুরের কাটরা থানার পালিয়া দারোবস্ত গ্রামে রিংকু সিং নামে এক যুবকের বিয়ে হয় কুশিনগর জেলার পাতারবা থানা এলাকার বাসিন্দা কাজলের সঙ্গে। তিনি ২৭ মে বরযাত্রী নিয়ে কুশীনগর যান এবং ২৮ মে নতুন বৌ নিয়ে ফিরে আসেন।
রিংকু সিংয়ের কথানুযায়ী, ফুলশয্যার রাতে ১১টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। এমতাবস্থায় প্রচণ্ড গরমের কারণে তিনি ছাদে উঠে যান। এরপর রাত ২টার দিকে তিনি নিজ কক্ষে পৌঁছালে স্ত্রীকে সেখানে দেখা যায়নি। সারা বাড়ি চিরুনি তল্লাশি চালালেও নববধূকে পাওয়া যায়নি। এই সময় তিনি দেখেন বাড়ির প্রধান দরজা খোলা। তিনি আবার স্ত্রীর মোবাইল নম্বরে কলও করেন, কিন্তু সেটি সুইচ অফ থাকে।
তৎক্ষণাৎ রিংকু বাড়ির অন্য লোকজনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে নববধূ নিখোঁজের কথা জানায়। বাড়ির লোকজন নতুন বৌকে খুঁজতে থাকে। এমন সময় তারা দেখতে পান, বাড়ি থেকে সোনা-রূপার গয়না, নগদ ১১ হাজার টাকা, মোবাইল ও আরও অনেক জিনিসপত্র নেই। তাদের বুঝতে বাকি রইল না যে, তারা ডাকাত বধূর শিকার হয়েছেন।
এরপর মঙ্গলবার রিংকু থানায় গিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে পুলিশ ডাকাত বধূর খোঁজ শুরু করে। এ বিষয়ে তথ্য দিতে গিয়ে পাতারবা থানার ইনচার্জ পরিদর্শক প্রবীণ কুমার সোলাঙ্কি জানান, 'নববধূর যে নম্বরটি দেওয়া হয়েছে, বর্তমানে সেটি বন্ধ রয়েছে। সাইবার সেল ও কুশিনগর পুলিশের সহায়তায় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।'
No comments:
Post a Comment