গাঁদা ফুল শীতকালের হলেও এখন গ্রীষ্ম ও বর্ষাতেও দেখা যায়। বেশিরভাগ বাঙালিরই বাড়ির ছাদে, বারান্দায় বা বাগানে ফুলের গাছ দেখতে পাবেন। আর এখন কৃষকরাও এ ফুল চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
মাটি
চাষের প্রথম ধাপ হল ভালো জমি বেছে নেওয়া। সাধারণত দোআঁশ মাটি ফুল চাষের জন্য বেশি উপযোগী। যে জমিতে ফুল চাষ করা হবে সে জমি যেন নিচু না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর অর্থ হল যে কোনও ভাবেই মাটিতে জল যাতে স্থির না হয় সেদিকে অবশ্যই যত্ন নেওয়া উচিৎ।
জমি নির্বাচন
জমি নির্বাচনের পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে জমিতে লাঙল দিয়ে মাটি তৈরি করতে হয়। মাটি চূর্ণবিচূর্ণ এবং ছোট হওয়া উচিৎ। চূড়ান্ত চাষের আগে জমিতে সার দেওয়া ভালো। মাটি সমান করুন। জমিকে গাঁদা চাষের উপযোগী করে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
রোপন
রোপণের ৮ থেকে ১০ দিনের জন্য কিছুই করার দরকার নেই। তারপর জমি শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে। তবে মাঝে মাঝে গাছে জল না দেওয়াই ভালো। সাধারণত সকালে বা সন্ধ্যার আগে জল দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে জমিতে জল দেওয়া হলে গাছের ক্ষতি হয়। গাছ মরতে পারে। তাই মাটি ঠান্ডা হলেই জল দিতে হবে। ১৫ থেকে ২০ দিন পর গাছ মাটির সাথে লেগে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এরপর থেকে গাছে ওষুধ ও সার দিতে পারেন।
সার প্রয়োগ
গাছ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছে ওষুধ ও সারের পরিমাণও বাড়াতে হবে। এছাড়াও গাছের গোড়ায় বেশি করে মাটি দিতে হবে। পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ভালো মানের কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
No comments:
Post a Comment