দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিপাকে দেশ ও বাংলার মানুষ। সম্প্রতি দেশের কয়েকটি স্থানে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ বাড়তে শুরু করেছে। তবে, বাড়লেও, এই রাজ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি মালদায় একটি ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। জেলার বিভিন্ন ব্লকে ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। ফলত, এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এই ভাইরাস মানুষকে সংক্রমিত করছে না, সংক্রমিত হচ্ছে গরুর শরীরে। মালদহে একের পর এক এলাকার গরু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গরুতে ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঘুম উড়েছে রাজ্য সরকারের।
রাজ্যের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ গরুদের ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য ঘরে ঘরে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এলাকায় গিয়ে গরুকে টিকা দেওয়া হচ্ছে, যাতে গরুকে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়।
মালদা জেলা প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতর বলছে, ভাইরাস নিরাময়ের অন্য কোনও উপায় নেই। এটি আটকানোর একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন, যা গরুকে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মালদা জেলা প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের উপ-পরিচালক উৎপল কুমার কর্মকার বলেন, গবাদি পশুতে ভাইরাসজনিত রোগটিকে খুরাই রোগ বলে। ওই জেলায় ৬ লাখ ৮০ হাজার গরুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ওই জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ গরুকে টিকা দেওয়া হবে। প্রাণী সম্পদ কর্মীরা সচেতন যে FMD ভ্যাকসিন ইতিমধ্যে জলাতঙ্কের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়েছে।
গবাদি পশুর এই ভাইরাসজনিত রোগ সম্পর্কে উৎপল কুমার কর্মকার বলেন, “এ রোগকে খুরাই রোগ বলা হয়। পশুর গর্ভাবস্থায় এর সংক্রমণ তীব্র হয়। এ রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী গাভীর গর্ভপাতও হতে পারে। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে দুধ উৎপাদনও কমে যায়। এক গাভী থেকে অন্য গরুতে এই রোগ ছড়ায়। এই রোগের একমাত্র নিরাময় হল ভ্যাকসিন।"
মালদা প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার হবিবপুর, বামনগোলা ও গাজোল ব্লকের গরুতে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গাজোলের বাসিন্দা গণেশ ঘোষ বলেন, 'প্রথমে আমার একটি গরু সংক্রমিত হয়েছিল। এরপর তার অন্যান্য গরুতেও এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এখন গ্রামের অনেক গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।'
No comments:
Post a Comment