একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে এগোচ্ছে, অন্যদিকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থামার নামই নিচ্ছে না। এই চলমান বিতর্কের মাঝেই আজ থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে নিয়োগের জন্য অগ্নিবীরের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। এদিকে অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে আবারও সরকারকে নিশানা করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ বরুণ গান্ধী। বরুণ গান্ধী বলেন যে, 'অগ্নিবীর যদি পেনশন পাওয়ার অধিকারী না হন, তবে আমি আমার পেনশনও ছেড়ে দিতে প্রস্তুত।'
বরুণ গান্ধী শুক্রবার ট্যুইট করেন, 'স্বল্প মেয়াদে চাকরি করা অগ্নিবীর পেনশন পাওয়ার অধিকারী নন, তাহলে জনপ্রতিনিধিদের এই 'সুবিধা' কেন? ন্যাশনাল গার্ডদের যদি পেনশন পাওয়ার অধিকার না থাকে, তাহলে আমি আমার নিজের পেনশন দিতেও প্রস্তুত। আমরা বিধায়ক/এমপিরা কি আমাদের পেনশন ছেড়ে দিতে পারি না এবং নিশ্চিত করতে পারি না যে অগ্নিবীররা পেনশন পাবে?' উল্লেখ্য, এই স্কিম নিয়ে বরুণ গান্ধী এই প্রথম এমন বিবৃতি দিয়েছেন তা নয়, এর আগেও তিনি এমন বিবৃতি দিয়েছেন।
কিছুদিন আগেই বরুণ গান্ধী বলেছিলেন, 'যখন যুবকের স্বপ্ন মরে, তখন সারা দেশের স্বপ্ন মরে যায়। ৪ বছর পর কি অগ্নিবীরদের একটি সম্মানজনক পুনর্বাসন হবে? আমি বিশ্বাস করি, সমাজের শেষ মানুষের আওয়াজ না শুনলে কোনও আইন করা উচিত নয়। কৃষকরা যখন তাদের অধিকারের জন্য রাস্তায় নেমেছিল, তারা খালিস্তানি, যুবসেনা পুনর্বহালের জন্য রাস্তায় নেমেছিল, তখন তারা জিহাদি। দেশপ্রেমিক যুবক দধীচির মতো হাড় গলিয়ে মা ভারতীর সেবা করে, তারপর গিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি পায়। গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সকলের অধিকার।'
কয়েকদিন আগে, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল চার বছর পর সরকার অগ্নিবীরকে অবসর দিলে তারা কী করবেন? সেই সময় কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন, তারা একজন গার্ডের কাজ করতে পারেন। এবার বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, 'যে মহান সেনাবাহিনীর বীরত্বের কাহিনী পুরো অভিধানে বলতে অক্ষম, যার বীরত্ব সারা বিশ্বে অনুরণিত, সেই ভারতীয় সৈনিককে যে কোনও রাজনৈতিক কার্যালয়ের 'চৌকিদার' হওয়ার আহ্বান যিনি দিয়েছেন, তাকে মুবারক। ভারতীয় সেনাবাহিনী মা ভারতীর সেবার একটি মাধ্যম, শুধু একটি 'চাকরি' নয়।'
No comments:
Post a Comment