বহুদিন ধরে নিয়মিত ব্যায়াম করে যাচ্ছেন,পাশাপাশি ডায়েটও মেনে চলছেন, কিন্তু তাও কিছুতেই আদর্শ ওজনের কাছাকাছিও পৌঁছতে পারছেন না? চিন্তা করবেন না, মোটিভেশন হারানোর মতো কোনো কিছু হয়নি৷ যেমন রুটিন মানছেন, তেমনি মেনে চলুন৷ ওজন একেবারে পারফেক্ট রাখতে পারলে খুব ভালো হয়, কিন্তু মাঝে মাঝে সব রুটিন মেনে চললেও তা করে ওঠা সম্ভব হয় না৷ তার চেয়ে শারীরিক সক্ষমতার উপর বেশি জোর দিন৷ এবং চিকিৎসকের কাছে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখুন অন্য কোনও জটিলতার কারণে ওজন কমাতে অসুবিধে হচ্ছে কিনা৷
যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের বারবার ওজনদাঁড়ির দিকে তাকানোর দরকারই নেই৷ ওজন দিয়ে ফিটনেসের পরিমাপ করা যায় না৷
আবার অন্য একদল ডাক্তার বলেন, বাড়তি ওজন নিয়ে কিছুতেই কেউ ফিট থাকতে পারেন না৷ উল্টে মাথায় যদি একবার গেঁথে যায় যে ওজন বেশি হলেও চিন্তার কিছু নেই, তাহলে ব্যায়াম করলেও খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মেনে চলবেন না অধিকাংশ মানুষই, এবং তার ফলে পরবর্তীকালে ওজন বাড়তেই থাকবে৷ এ কথা ভুললে চলবে না যে আমাদের শরীর যে কোনও পরিশ্রমের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি মানিয়ে নেয়৷ তাই এক্সারসাইজ়ের রুটিনে নিয়মিত পরিবর্তন আনা দরকার, ক্রমশ ইন্টেনসিটি বাড়াতে হয়, তবেই ওজন দীর্ঘকাল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব৷
তাই অ্যাকটিভ থাকুন, প্রতিদিন খানিকটা হাঁটুন, ঘাম ঝরে এমন কাজকর্ম করুন৷ যাঁরা দিনের বেশিরভাগ সময়টা একটা চেয়ারে বসে কাটান, তাঁদের আরও বেশি করে ফিটনেস সচেতন হয়ে ওঠা উচিৎ। সপ্তাহে এক-আধবার ভাজাভুজি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে কোনও অসুবিধে নেই৷ চা-কফিতে অল্পস্বল্প চিনিও চলতে পারে৷ রোজের খাদ্যতালিকায় তাজা ফল, শাকসবজি রাখুন বেশি করে৷ ওজনের সামান্য বাড়া-কমা নিয়ে মাথাব্যথা করবেন না৷ কিন্তু তা যদি নিয়মিত বাড়তে থাকে বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে আরম্ভ করে, তা হলে কিন্তু সতর্ক হোন৷ ওজন বাড়লেই নানা আধি-ব্যাধিও জাঁকিয়ে বসবে ক্রমশ৷
No comments:
Post a Comment