মন্দিরে মাংসের টুকরো ফেলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা। প্রতিবাদে এলাকার তিনটি মাংসের দোকানে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। শনিবার উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলার তালগ্রাম থানা এলাকার রাসুলাবাদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। শনিবার পুলিশ-প্রশাসন এ তথ্য জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, মামলার তদন্ত চলছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ঘটনার প্রতিবাদে তালগ্রাম-ইন্দরগড় সড়ক দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে রাখে হিন্দু সংগঠনগুলো। পুলিশ জানিয়েছে, রাসুলাবাদের বাইরে মাঠে অবস্থিত শিব মন্দিরের পুরোহিত জগদীশ জাটভ এদিন ভোর ৪টা নাগাদ মন্দিরে পৌঁছান, তখন তিনি হবন (যজ্ঞ) কুণ্ডে মাংসের টুকরো পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
আধিকারিকরা অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এটি পরিষ্কার করেন, তবে ঘটনার প্রতিবাদে হিন্দু সংগঠনগুলি তালগ্রাম-ইন্দরগড় সড়ক অবরোধ করে। সার্কেল অফিসার সদর শিবপ্রতাপ সিং, সাব-কালেক্টর ছিব্রামউ অশোক কুমার এবং এসএইচও হরি শ্যাম সিং জনগণকে বোঝান এবং শান্ত করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে দেন।
সাব-কালেক্টর অশোক কুমার বলেন, ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে এবং যারা এই ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পর বিকেলে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে অবস্থিত মাংসের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিতরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হওয়ার পরে, কানপুর বিভাগীয় কমিশনার এবং কানপুর রেঞ্জের মহাপরিদর্শক প্রশান্ত কুমার তালগ্রামে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকেশ কুমার মিশ্র এবং পুলিশ সুপার (এসপি) রাজেশ কুমার শ্রীবাস্তবও তালগ্রামে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাসুলাবাদ গ্রাম ও এর আশপাশে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, কিছু নৈরাজ্যবাদীরা তিনটি মাংসের দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে। এসপি বলেছেন যে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment