অনেকেই গ্রীষ্মের ঋতু পছন্দ করেন না, তবে এই ঋতুতে এমন অনেক ফল আসে যা শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের ধন হিসেবেও বিবেচিত হয়। এমনই একটি ফল হল জামুন, যার স্বাদ বেশিরভাগ মানুষকে আকৃষ্ট করে, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী হতে পারে।
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যাতে আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার বিষয়ে অনেক যত্ন নেওয়া হয়, তা না হলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকবে এবং এটি স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সুস্বাস্থ্যের জন্য তাজা ফল খাওয়ার পরামর্শ দিলেও ডায়াবেটিক রোগীরা কোন ফল খাবেন আর খাবেন না তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন।
জামুনের বীজ ডাস্টবিনে ফেলবেন না
আমরা খুব ধুমধাম করে জাম খাই, কিন্তু এর বীজ ডাস্টবিনে ফেলে দিই, কিন্তু জেনে রাখুন এটা করলে আপনি এর উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হবেন। জামুনের বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে এই ফলের বীজে রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক গুণ, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমে যায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা কম হবে
জামুনের বীজে জাম্বোলিন এবং জাম্বোসিন নামক যৌগ রয়েছে, যা রক্তে চিনির মাত্রা কমায়, যে কারণে এটি টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যের ধন। এই বীজের হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য চিনি কমাতেও সাহায্য করে।
জামুনের বীজ কিভাবে খাবেন?
জামুন খাওয়ার পর এর বীজ আলাদা করে নিন, এবার ধুয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর উপরের অংশটি সরিয়ে সবুজ দেয়ালের অংশটি বের করে নিন। একটি মিক্সার গ্রাইন্ডারে শুকনো বীজ পিষে একটি এয়ার টাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে জলে মিশিয়ে পান করুন, কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
No comments:
Post a Comment