ব্যায়াম আমাদের শুধু শারীরিকভাবে নয় মানসিকভাবেও সুস্থ রাখে। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করা জরুরি। কিন্তু আপনি যদি সঠিকভাবে ব্যায়াম না করেন, হয় আপনি আঘাত পান বা আপনি ব্যায়াম বন্ধ করে দেন। একটু সচেতনতা আনলে ব্যায়ামের সময় করা ভুলগুলো এড়ানো যায়।
খালি পেটে এই ব্যায়াম
করলে শরীরে শক্তির অভাবের কারণে দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে। তাই ব্যায়াম করার আগে হালকা কিছু খান, যাতে শরীরে পুষ্টি পৌঁছে যায়। আপনি যদি খুব হালকা খাবার যেমন কলা, আঙ্গুর বা কমলা খেয়ে থাকেন তবে সেগুলো খাওয়ার ১৫-৩০ মিনিট পর ব্যায়াম করতে পারেন। আপনি যদি দুধ বা অন্য কোন মাঝারি মাত্রার খাবার খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনি ৪৫ মিনিট পর ব্যায়াম করতে পারেন। আপনি যদি ভারী খাবার খেয়ে থাকেন, তবে দেড় ঘন্টা পরে ব্যায়াম করা উপযুক্ত হবে, যদিও যোগব্যায়াম খালি পেটে করা হয়, তাই একজন যোগ শিক্ষকের সাথে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।
দ্রুত জল পান করুন:
ব্যায়ামের সময় জল কম পান করা যাবে না বা অতিরিক্ত পান করা যাবে না। তৃষ্ণা পেলে সামান্য জল পান করুন, যাতে শরীরে জলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। অনেক সময় মানুষ ব্যায়াম বা খেলাধুলার সময় অতিরিক্ত জল পান করে, যা স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে ভুল।
আঁটসাঁট পোশাক পরা
অনেকেই ব্যায়াম বা যোগব্যায়ামের সময় আঁটসাঁট পোশাক পরেন, যার কারণে শরীরের পেশিগুলো ঠিকমতো প্রসারিত হয় না। এ কারণে শরীর পুরোপুরি সুফল পায় না। ব্যায়ামের সময় সবসময় ঢিলেঢালা এবং বাতাসযুক্ত পোশাক পরুন। ব্যায়াম করার আগে ৫-১০ মিনিটের জন্য
ওয়ার্ম আপ করবেন না
এ জন্য দৌড়াতে পারেন এবং হালকা স্ট্রেচিং করতে পারেন। স্ট্রেচিং ছাড়া ব্যায়াম করা আঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়। যেকোনো ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করার আগে এবং পরে স্ট্রেচিং করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত ব্যায়াম
করলে শরীরে ক্লান্তি ও আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেকে সরাসরি ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করেন। ওয়ার্ম-আপ এবং স্ট্রেচিং ছাড়া খেলে পেশীতে স্ট্রেন এবং আঘাত হতে পারে।
বিশ্রাম না দেওয়া
কিছু লোক ব্যায়াম করার পরে শরীরের যে বিশ্রাম বা পুনরুদ্ধারের সময় প্রয়োজন তা দেয় না। আগের দিন করা ভারী ব্যায়ামের কারণে শরীর ক্লান্ত হলে বিশ্রাম দিতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়াও খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ঘুমানোর সময় পেশী নিজেদের মেরামত করে।
No comments:
Post a Comment