তাইওয়ানের ব্যাপারে দুই পরাশক্তির মুখোমুখি হয়েছে বিশ্ব। তথ্য অনুযায়ী, রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে তাইওয়ানে পৌঁছেছেন মার্কিন সিনেটর ন্যান্সি পেলোসি। চীনের সব হুমকি ও বিক্ষোভের পর মার্কিন সিনেটরকে কড়া নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, জাপানের মিডিয়া জানিয়েছে যে তাইওয়ানে পেলোসিকে রক্ষা করবে মার্কিন বিমান বাহিনীর ১৩টি বিমান। এই নিরাপত্তা বহরে আটটি যুদ্ধবিমানও রয়েছে। তাইওয়ানে আমেরিকার আগ্রহের পর চীন ক্ষুব্ধ। চীন আমেরিকাকে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিয়েছে।
জাপানি মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তত ১৩টি মার্কিন বিমান বাহিনীর বিমান জাপানের সামরিক ঘাঁটি থেকে রওনা হয়েছে। মার্কিন সিনেটর ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের সময় এই বিমানটিকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। ন্যান্সির তাইওয়ান সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই এই খবর এসেছে। প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে আটটি আমেরিকান যুদ্ধবিমান এবং পাঁচটি ট্যাঙ্কার জাপান ছেড়ে গেছে। বলা হচ্ছে যে এই বিমানগুলি তাইপেই পেলোসির এসকর্ট।
তাইওয়ানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ানে পৌঁছেছেন মার্কিন সিনেটর ন্যান্সি পেলোসি। তাইওয়ানে তাদের নিরাপত্তার জন্য কড়া ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাইওয়ানে তিনি যে হোটেলে থাকবেন সেখানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, তাইওয়ানের কাছে চীনা সেনাবাহিনীর গতিবিধি তীব্র হয়েছে বলে খবর রয়েছে। তাইওয়ান সীমান্তের কাছে চীনা সেনাবাহিনী খনন করছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য গত ২৫ বছরে, ন্যান্সি পেলোসিই প্রথম মার্কিন স্পিকার যিনি তাইওয়ান সফর করেছেন।
চীনের হুমকি, আমেরিকার পাল্টা আক্রমণ
মার্কিন সিনেটর ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে আক্রমণ করছে চীন। চীন এটাকে নিজের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। চীনের অনেক এলাকায় আমেরিকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভও চলছে। আমেরিকাকে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিয়েছে চীন। অন্যদিকে, আমেরিকাও জবাব দিয়েছে যে পেলোসির সফর তাদের সিদ্ধান্ত। পেলোসির প্রস্তাবিত এশিয়া সফরে তাইওয়ান অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সফরে তাইওয়ানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment