মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। তাই বলে মিড-ডে মিলে লবণের বদলে ডিটারজেন্ট পাউডার! ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের কাপাসিয়া এলাকায়। অভিভাবকদের দাবী, শুক্রবার মিড-ডে মিল খাওয়ার পর শিশুরা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে। অনেকের বমি শুরু হয়। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা জানান, খোঁজ নিতে দেখা গেছে, খিচুড়িতে লবণের পরিবর্তে ডিটারজেন্ট পাউডার বা সাবান গুঁড়ো মেশানো হয়েছে।
এ বিষয়ে স্কুল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ মুখ খুলতে চাননি। খবর পেয়ে পুলিশ, এসআই স্কুলে পৌঁছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে। শিক্ষা দফতরের জেলা কার্যালয়ও বিষয়টি নিয়ে পৃথক তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিলিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। জয়নুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক জানান, খাওয়ার পর কারও পেটে ব্যথা, তো কারও বমি শুরু হয়। স্বজনরা শিক্ষার্থীদের ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্কুলে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। ঘটনার পর প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে ইটাহার থানার পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। উল্লেখ্য, ছিলিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০৮ জন। শুক্রবার ১২৭ জন শিক্ষার্থী স্কুলে যায়। এই ঘটনার পর অভিভাবকরা রাঁধুনিদের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
ইটাহারের বিডিও অমিত বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাঁধুনিদের শোকজ করা হয়েছে। তিনি স্কুল পরিদর্শক বা এসআই এবং জয়েন্ট বিডিওকে স্কুল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। সব দিক বিবেচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
No comments:
Post a Comment