রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি, গরু ও কয়লা চোরাচালানের পর এবার লটারি কেলেঙ্কারির অভিযোগ, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। বীরভূমের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল কী সত্যিই লটারির টিকিট জিতেছেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুক্রবার বোলপুরে একটি লটারি টিকিটের দোকানে অভিযান চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমস্ত নথি সিবিআই অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আধিকারিকদের।
শুক্রবার সকালে বোলপুরে 'লটারি এজেন্সি'র একটি দোকানে যায় সিবিআই। আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর দোকানের মালিক শেখ আইনুলকে কাগজপত্র নিয়ে সিবিআই শিবিরে যেতে বলা হয় এবং নির্দেশ মেনেই তিনি শিবিরে পৌঁছান।
এর আগে বুধবার, বোলপুরের আরেক লটারি টিকিট ব্যবসায়ী বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই। গত জানুয়ারিতে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কোটি টাকার লটারি জিতেছিলেন। তদন্তে, সিবিআই জানতে পেরেছে যে লাকি লটারি নামে একটি সংস্থা, রাহুল লটারি এজেন্সি থেকে প্রথম পুরষ্কার জেতা ঐ টিকিট কেনে সেটি বিক্রির জন্য। পরে নাহিনা গ্রামের এক লটারি বিক্রেতা লাকি লটারি থেকে ওই টিকিট কিনে নেন। প্রথম পুরস্কার পাওয়া নম্বরের টিকিটটি নাহিনা গ্রাম থেকে বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, "ওই টিকিটের 'মালিক' অনুব্রত মণ্ডল কী টিকিট কিনতে নাহিনায় গিয়েছিলেন? নাকি অন্য কেউ পুরষ্কার জিতেছে?"
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডল লটারিতে পুরষ্কার জেতা নিয়ে সরাসরি কিছু স্বীকার করেননি। এটা নিয়ে মজা করেছিলেন। সেই ঘটনার ১০ মাস পর এবার তদন্ত শুরু করল সিবিআই। একটি সূত্র জানিয়েছে, বোলপুরের চিত্রা মোড়ের একটি দোকান থেকে লটারির টিকিট কেনা হয়েছিল। এসব লটারির টিকিটের মাধ্যমে গরু পাচারের বিপুল কালো টাকা সাদা করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চায় তদন্তকারী সংস্থা।
এই লটারি সম্পর্কিত সমস্ত নথি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিবিআই আধিকারিকদের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে আজ বোলপুরের একটি ব্যাঙ্ক শাখা থেকে নথিও তলব করেছে সিবিআই। গত সেপ্টেম্বরে ওই শাখায় আগুন লাগে। সেই ব্যাঙ্কে তল্লাশিও চালায় সিবিআই।
No comments:
Post a Comment