গুজরাটের মরবিতে ব্রিজ দুর্ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। পিটিশনে ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশনা দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও আবেদনে দেশের ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলোকে জনগণের জন্য নিরাপদ হিসেবে মূল্যায়ন করার দাবী জানানো হয়েছে। এই ধরনের বিষয়গুলি দেখার জন্য প্রতিটি রাজ্যে একটি বিশেষ বিভাগ তৈরি করার দাবীও উঠেছে।
পিটিশনটি দায়ের করেছেন বিশাল তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তি, যিনি পেশায় একজন আইনজীবীও। এখন পর্যন্ত, মরবি ব্রিজ দুর্ঘটনার বিষয়ে আইপিসির বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাট সরকারও সেতু দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২ নভেম্বর রাজ্যব্যাপী শোক ঘোষণা করেছে।
যে সময় এই ঘটনা ঘটে, সেই সময় গুজরাট সফরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তাঁর অনেক কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পরে একটি পর্যালোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার সভাপতিত্ব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। একই বৈঠকে ২রা নভেম্বর রাজ্যব্যাপী শোক ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং কোনও আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করা হবে না।
সবরমতি রিভারফ্রন্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড, যা সেতুটি পরিচালনা করে, একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, সেতুটি প্রায় ১২ হাজার লোকের ওজন বহন করতে সক্ষম, তবে আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অটল সেতুতে দর্শনার্থীদের সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সতর্কতা হিসাবে, আমরা অটল সেতুতে দর্শনার্থীদের সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন প্রতি ঘন্টায় মাত্র ৩ হাজার দর্শনার্থীকে অনুমতি দেওয়া হবে। প্রতি ঘন্টায় ৩০০০ জনের বেশি লোককে সেতুতে দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে না এবং বাকিদের রিভারফ্রন্টে তাদের পালার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হবে।'
No comments:
Post a Comment